১৩ দিনেই জুনের দ্বিগুণ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করার একমাত্র উপায় হলো এ মশার বংশ বিস্তার রোধ করা
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই রাজধানীতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি জুলাইয়ের ১৩ দিনে আক্রান্ত হয়েছে ৪৭৩ জন।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুলেটিনে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটির চেয়ে দক্ষিণে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। সবমিলে চলতি বছরে সারা দেশে ৮১২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৩২, ফেব্রুয়ারিতে ৯, মার্চে ১৩, এপ্রিলে ৩, মে’তে ৪৩ ও জুনে ২৭১ রোগী শনাক্ত হয়। আর ১৩ জুলাই পর্যন্ত ৪৭৩ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ হিসেবে জুনের পুরো মাসের চেয়ে জুলাইয়ের প্রথম দুই সপ্তাহে প্রায় দ্বিগুণ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর জ্বর, গায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা থাকে। গুরুতর ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে নারীদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ কিংবা হঠাৎ করে মাসিক হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে চার-পাঁচ দিন পরে শরীরে লাল অ্যালার্জির মতো র্যাশ হতে পারে। তখন রক্তে প্ল্যাটিলেটের মাত্রা কমে যেতে পারে। কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো থাকলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। সেগুলোর মধ্যে যদি দেখা যায় যে রোগীর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। অথবা তার কালো পায়খানা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশার বংশ বিস্তার হয়। ফলে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করার একমাত্র উপায় হলো এ মশার বংশ বিস্তার রোধ করা।