সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত ডা. স্বপ্নীল

অনলাইন ডেস্ক
2021-07-10 17:53:06
সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত ডা. স্বপ্নীল

সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত ডা. স্বপ্নীল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে শেষ কর্মদিবসে সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন অধ্যাপক ডা. মামুন আল-মাহতাব স্বপ্নীল।

বর্তমানে তিনি বিএসএমএমইউর ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজীর ডিভিশন হেড হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। ফলে আজ শনিবার হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে শেষ কর্মদিবস ছিল।

হেপাটোলজি বিভাগে দায়িত্বকালিনে বড় একটা অংশ করোনা মহামারীতে কাটে ডা. স্বপ্নীলের। তারপরও গত তিন বছরের পথ চলায় তার কাজের কিছু অংশ ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন তিনি।

পাঠকদের পড়ার জন্য তার কর্মকান্ডগুলো এখানে তুলে ধরা হলো:-

১। রেসিডেন্টের জন্য লকারের ব্যবস্থা করা।

২। রেসিডেন্টদের জন্য রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা।

৩। সিনিয়র রেসিডেন্টদের জন্য আলাদা এসি রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা।

৪। ডিপার্টমেন্টে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা।

৫। রোগীদের জন্য নতুন ম্যাট্রেসের ব্যবস্থা করা।

৬। রোগীদের খাট এবং সাইড টেবিলগুলো মেরামত করা।

৭। ওয়ার্ডগুলোতে আলো বাড়ানো।

৮। ডিপার্টমেন্টের প্রতিটি টয়লেট সংষ্কার করা।

৯। এন্ডোস্কোপি করতে আসা অপেক্ষমান রোগীদের জন্য ফ্যানসহ বসার ব্যবস্থা করা।

১০। ডিপার্টমেন্টকে সিসিটিভি নজরদারীর আওতায় আনা।

১১। ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানের রুম সংস্কার করা।

১২। প্রত্যেক অধ্যাপকের রুমে নতুন আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করা।

১৩। প্যান্ডেমিকের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডায়াগনস্টিক ও থেরাপিউটিক এন্ডোস্কোপি, কোলনোস্কোপি এবং ইআরসিপি চালু রাখা।

১৪। ডিপার্টমেন্টের জন্য একটি প্যানটেক্স আপার জি আই এন্ডোস্কোপ সংগ্রহ করা।

১৫। ডিপার্টমেন্টে একজন হিসাবরক্ষক এবং একজন কম্পিউটার অপরেটর নিয়োগ দান।

১৬। ডিপার্টমেন্টের জন্য নতুন এসি অফিস রুমের ব্যবস্থা করা।

১৭। প্যান্ডেমিকের পূর্বে নিয়মিত ভিত্তিতে একাডেমিক সিএমই আয়োজন করা।

১৮। প্রবাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পল কনেট দম্পতি ও বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক-কে স্মৃতিচারণের জন্য ডিপার্টমেন্টে আমন্ত্রণ জানানো।

১৯। বিএসএমএমইউ হেপাটোলজি এলুমনাই এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করা।

২০। প্যান্ডেমিক চলাকালীন সময়ে এই এলুমনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ৩০টির বেশী ওয়েবিনারের আয়োজন।

২১। প্যান্ডেমিকের শুরুতেই ফেব্রুয়ারি ২০২০-এর প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বিষয়ক প্রথম সেমিনার আয়োজন যেখানে কি-নোট স্পিকার ছিলেন ডাঃ শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর।

২২। ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন প্রতিষ্ঠা ও এর মাধ্যমে ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজিকে একটি স্বতন্ত্র সাবস্পেশিয়ালটি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদান।

২৩। হেপাটোলজি বিভাগে অটোলোগাস হেমোপয়েটিক স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ও প্লাজমা এক্সচেঞ্জ চালু করা।

২৪। একসাথে সর্বোচ্চ ৩ জন সহযোগী অধ্যাপকের অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, যার ফলে এই মুহুর্তে এই বিভাগে ৫ জন সহ বাংলাদেশে হেপাটোলজিতে বিভিন্ন হাসপাতালে সর্বমোট ৯ জন অধ্যাপক কর্মরত আছেন। এটি বাংলাদেশে হেপাটোলজি স্বতন্ত্র স্পেশিয়ালটি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর যে কোন সময়ের বিবেচনায় সর্বোচ্চ।

২৫। বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩৩ জন হেপাটোলজিস্ট এই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসাবে আমার মেয়াদকালে বিগত তিন বছরে এই বিভাগ থেকে এমডি (হেপাটোলজি) সম্পনন্ন করে সম্মানের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও দেখুন: