ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসককে মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গত রবিবার (৪ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাবাই ছাত্রলীগের নেতা কর্মী বলে জানা গেছে।

বুধবার (০৭ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দায়িত্বরত চিকিৎসক নাফিজ আহম্মদ’র সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করছেন কয়েকজন যুবক। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে মারধর শুরু করে দুই তিন জন। এসময় ওই চিকিৎসক চলে যেতে চাইলে তাকে জামা ধরে দরজা থেকে টেনে এনে আবারও লাথি ও কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা অন্যরা থামিয়ে দেয়।

মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাসিব আহম্মেদ জানিয়েছেন, গত রবিবার রাত দেড়টার দিকে জুয়েল রানা নামে এক যুবক বুকের ব্যথা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতালে আসেন। ওই সময় জরুরি বিভাগে ডিউটিরত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিজ আহম্মদ।

তিনি জুয়েল রানাকে দেখে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে তার স্ত্রী তানিয়াকে হাসপাতালের উপরের বেডে যেতে বলেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সকালে ডাক্তার দেখাতে বলেন। এ সময় ডাক্তার ও রোগীর স্ত্রী তানিয়ার সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার কিছুক্ষণ পর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশ ও তার সহযোগী ইসরাফিল হোসাইন বাবু, সাদ্দাম হোসেন ও আমির হোসেন জরুরি বিভাগের সামনে এসে ডাক্তারকে ডাকেন। এক পর্যায়ে তারা ডাক্তারকে মারধর করে।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আরিফুজ্জামান বিপাশ সংবাদমাধ্যমকে জানান, মহেশপুরের নাটিমা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসেন। ডাক্তার ওই সময় তার স্ত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এইজন্য তাকে একটু বকা-বকি করা হয়েছে। তবে সিসিটিভিতে মারধর দেখা যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি।

হামলার শিকার ডা. নাফিজ আহম্মদ বলেন, মারধরের ঘটনা জেলা বিএমএ ও সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

ঘটনার ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, এ ঘটনার পর সেখানে গিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।