জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই গ্রেপ্তার
দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় মামলায় সাজা ৬ মাসের জেল ও জরিমানা
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ঢাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ রাস্তায় থাকবে। কোনো যানবাহন বের হলে দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় মামলা করা হবে। সংগত কারণ দেখাতে না পারলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হবে। এবার পুলিশ শক্ত অবস্থানে থাকবে। পুলিশ শক্ত অবস্থানে থাকবে বলেই আপনারা নিরাপদে থাকবেন। দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় মামলায় সাজা ৬ মাসের জেল ও জরিমানা। এর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতেও সাজা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হার্ডলাইনে থাকবে। এমনও হতে পারে, প্রথম দিনেই গ্রেপ্তার ৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সর্বাত্মক লকডাউনে ডিএমপি বিভিন্ন ইউনিটের উপকমিশনাররা বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সর্বাত্মক লকডাউনে শপিংমল, কমিউনিটি সেন্টার, মার্কেট, দোকানপাট—সব বন্ধ থাকবে। অলিগলির সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সে কারণে কাঁচাবাজার রাস্তায় এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানো হবে। কাঁচাবাজারে কেউ কোনো যন্ত্রচালিত গাড়িতে যাতায়াত করতে পারবেন না। প্রয়োজনে রিকশা ব্যবহার করতে পারবেন।’
গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে যন্ত্রচালিত যানবাহনে চলাচল করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে মাস্ক পরে বের হতে হবে।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, রিকশায় সংক্রমণের ঝুঁকি কম বলে তা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুভমেন্ট পাসের কোনো কার্যকারিতা নেই। ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে পারবে না। শিল্পকারখানার মালিকরা তাদের গাড়িতে চলতে পারবে না, রিকশায় যেতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণপদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান প্রমুখ।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে। আগামীকাল থেকে আগামী সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।