অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় ৯৩ শতাংশের অ্যান্টিবডি

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2021-06-27 12:28:42
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় ৯৩ শতাংশের অ্যান্টিবডি

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন এমন ৩০৮ জনের ওপর গবেষণাকাজ চালানো হয়

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, চিকিৎসক এবং কর্মচারীদের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার দুই ডোজ টিকা দেয়ার পর তাদের ৯৩ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ পরিচালিত এক গবেষণায় এ ফলাফল পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আজ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. সামসুজ্জামান ফলাফল প্রকাশ করেন। তার নেতৃত্বে পাঁচ মাস ধরে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন এমন ৩০৮ জনের ওপর গবেষণা কাজ চালানো হয়। এতে অর্থায়ন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

অধ্যাপক ডা. সামসুজ্জামান বলেন, ‘টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার চার সপ্তাহ পর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ সময় ৪১ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার চার সপ্তাহ পর এবং চার সপ্তাহের মধ্যে আবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এ সময় টিকা গ্রহীতাদের ৯৩ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের সবার বয়স ৩০ এর ঊর্ধ্বে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের বেশি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়ার পর এন্টিবডি হলো কিনা এবং দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পর অ্যান্টিবডির পরিমাণ কেমন হলো, তা দেখা।’

অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ার পর তা শরীরের কতদিন থাকবে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. সামুসজ্জামান বলেন, ‘অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার পর তা ছয় মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে কতদিন তা নিয়ে এখনো বিজ্ঞানীদের হাতে কোনো তথ্য নেই। এটা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।’

অনুষ্ঠানে ঢামেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া বলেন, ‘অ্যান্টিবডি তৈরির জন্য টিকা নিতে হবে। টিকা নেয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আক্রান্ত হলেও পরিস্থিতি গুরুতর হবে না, মৃদু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।’

এ গবেষণার ফলাফল পুরো সমাজের চিত্র কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুরো দেশের চিত্র বহন করে না। কারণ এ গবেষণা করা হয়েছে একটি বিশেষ শ্রেণীর ওপর। তবে ৩০৮ জনের নমুনা একেবারে কম না। এটা থেকে আমরা মোটামুটি একটা ধারণা পেতে পারি। পুরোপুরি নিশ্চিত হতে হলে আরও বড় পরিসরে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।’

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, উপাধ্যক্ষ ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও দেখুন: