বেসরকারি হাসপাতালে ৭০০ টাকায় হবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা
আগামী দু-একদিনের মধ্যে পরীক্ষার এ অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে
করোনাভাইরাস শনাক্তে বেসরকারিভাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দিচ্ছে সরকার। বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এ পরীক্ষা করাতে ৭০০ টাকা লাগবে।
আগামী দু-একদিনের মধ্যে পরীক্ষার এ অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর হয়ে গেছে। প্রজ্ঞাপন আকারে দু-একদিনের মধ্যেই চলে আসবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অনুমোদন (নীতিমালা) বেশ কিছুদিন আগেই দেওয়া হয়েছিল। তবে কিটের দাম ঠিক করা ছিল না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির প্রস্তাবনা থেকে এবার দাম ৭০০ টাকা ঠিক করে দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের অনুমোদন দেয়া হবে, তারা অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে পারবে। তবে ভালো মানের হাসপাতালই অনুমোদন পাবে। সবাইকে অনুমোদন দেয়া হবে না।’
দ্রুততম সময়ে করোনা শনাক্ত করতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। এ পরীক্ষায় ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল জানা যায়।
অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় নাক কিংবা মুখবিহ্বরের শ্লেষ্মা ব্যবহার করা হয়। আরএনএ বিশ্লেষণের পরিবর্তে এখানে ভাইরাসের প্রোটিন শনাক্ত করা হয়। আবার রক্ত পরীক্ষা করেও অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়।
গত ১১ মার্চ স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডি টেস্টর নীতিমালা অনুমোদন করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
গত ১ জুন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে করোনা নির্ণয়ে অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের নামসহ মূল্য নির্ধারণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে প্রস্তাব পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাক্ষরিত প্রস্তাবে বলা হয়, করোনা মহামারির সময় আরটিপিসিআরের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা খুবই জরুরি। সরকারিভাবে ১০০ টাকায় অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি খাতে এ টেস্ট চালু করা জরুরি।
এতে আরও বলা হয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন আছে বায়োসেন্সর এবং প্যানবায়ো নামে দুটি কিটের। এসব কিটের আনুমানিক মূল্য ৫০০ টাকা। এই মূল্যের সঙ্গে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের অন্যান্য খরচসহ পরীক্ষাটির সর্বোচ্চ মূল্য ৭০০ টাকা করা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর দেশে করোনা শনাক্তের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু করে সরকার। শুরুতে দেশের ১০টি জেলায় এ পরীক্ষা কার্যক্রম চালু হয়।