করোনা টিকায় বাংলাদেশকে ৯৪ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
কিনতে বাংলাদেশকে ৯৪ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে বাংলাদেশকে ৯৪ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
মঙ্গলবার (২২ জুন) ম্যানিলাভিত্তিক এই ঋণদাতা সংস্থার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে টিকা কিনতে সহযোগিতা করার জন্যই, গত ডিসেম্বরে এডিবি ৯০০ কোটি ডলারের যে ‘এশিয়া-প্যাসিফিক ভ্যাকসিন একসেস ফ্যাসিলিটি চালু করেছিল, তার আওতায় এই অর্থ পাবে বাংলাদেশ।
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ঋণের পরিমাণ সাত হাজার নয় শত ৪৫ কোটি টাকা।
গত এপ্রিলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনায় এডিবি এই ঋণের বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছিল। টিকা কিনতে ঋণ হিসেবে এটাই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সহায়তা।
করোনার টিকা কিনতে এডিবির কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার চেয়ে গত নভেম্বরে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে আলোচনার ভিত্তিতে তার চেয়ে বেশিই পাচ্ছে।
ঋণের এই ৯৪ কোটি ডলারের অর্ধেকের (৪৭ কোটি ডলার) জন্য বাংলাদেশকে নিয়মিত হারে ২ শতাংশ সুদ দিতে হবে। বাকি ৪৭ কোটি ডলারের জন্য সুদের হার ঠিক হয়েছে আলোচনার ভিত্তিতে, তবে সেই হার কত তা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঋণের টাকায় বাংলাদেশ আনুমানিক ৪ কোটি ৪৭ লাখ ডোজ টিকা কিনতে পারবে। ২০২৪ সালের মধ্যে দুই কোটির বেশি মানুষকে ওই টিকা দেওয়া যাবে।
এই ঋণের অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ কোভিড টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাকস বা জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফের মাধ্যমে অথবা সরাসরি উৎপাদনকারীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় টিকা কিনতে পারবে।
এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া জানান, ভাইরাস সংক্রমণের চক্রকে ভেঙে প্রাণ বাঁচানোর পাশাপশি অর্থনীতির ওপর মহামারির নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনতে পারে টিকাদান কর্মসূচি।
কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশেকে এডিবির ধারাবাহিক সহযোগিতার অংশ হিসেবেই এই ঋণ। এর মাধ্যমে ভাইরাস থেকে নাগরিকদের সুরক্ষা, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবিকার ক্ষেত্র নতুন করে গড়ে তোলা ও অর্থনীতিকে আগের মত প্রবৃদ্ধির ধারায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।