দেশে মাত্র ২ শতাংশের রক্তদানেই পূরণ হবে রক্তের চাহিদা
সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘জীবনের জন্য রক্ত’ এর এক সদস্যের রক্তদান
আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বছরে প্রায় ৬ লক্ষের অধিক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। এ রক্তের যোগান ৬৯ ভাগ আসে আত্মীয়-স্বজন থেকে। আর বাকি ৩১ ভাগ পাওয়া যায় স্বেচ্ছায় রক্তদাতা থেকে।
স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা গত এক দশকে ১০ ভাগ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩১ ভাগে উন্নীত হলেও অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্ত দেওয়ার কোনো আত্মীয়-স্বজন থাকে না। ফলে রক্তগ্রহীতারা অপরিচিত কারো থেকে রক্ত গ্রহন করে থাকেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বেচ্ছায় রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। যাতে ২০২১ সালের মধ্যে ১০০ ভাগ স্বেচ্ছায় রক্তদান নিশ্চিত করা যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ডক্টর টিভিকে বলেন, ‘স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে সদকায়ে জারিয়া অর্জন করা সম্ভব। রক্তদানের মাধ্যমে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়’।
পরিসংখ্যান আরো বলছে, প্রতিবছর বিশ্বে ১০.৭ কোটি ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়। প্রায় ৬২টি দেশে শতকরা ১০০ ভাগ স্বেচ্ছায় রক্ত সংগ্রহ হয়। উন্নত বিশ্বে প্রতি ১ হাজার জনের মধ্যে ৩৬ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করলেও উন্নয়নশীল দেশে ৩ জনেরও কম।
প্রতি বছর বিশ্বে প্রসব-জনিত কারণে মারা যাওয়া প্রায় ৫ লক্ষ মহিলার মধ্যে প্রায় দেড় লাখ মারা যায় কেবল মাত্র রক্তের অভাবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে দুর্ঘটনা জনিত কারণে ৫-২৯ বছরের মানুষ বেশী মারা যায়। যেখানে রক্তের প্রয়োজন অবধারিত।
দেশে রক্তের অভাব মেটাতে মোট জনসংখ্যার দুই শতাংশ মানুষ বছরে মাত্র একবার রক্তদান করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
আরও দেখুন:
- অধ্যাপক-ডা.-মো.-শারফুদ্দিন-আহমেদ
- বঙ্গবন্ধু-শেখ-মুজিব-মেডিকেল-বিশ্ববিদ্যালয়
- দেশে-মাত্র-২-শতাংশের-রক্তদানেই-পূরণ-হবে-রক্তের-চাহিদা
- বিশ্ব-রক্তদাতা-দিবস
- স্বেচ্ছায়-রক্তদান