আলট্রাসোনোগ্রাম মেশিন বিকলে চরম দুর্ভোগে রোগীরা

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2021-06-13 13:51:04
আলট্রাসোনোগ্রাম মেশিন বিকলে চরম দুর্ভোগে রোগীরা

চার বছর ধরে বন্ধ ঝালকাঠি সদর হাসাপাতোলের আলট্রাসোনোগ্রাম মেশিন, ফাইল ছবি

১৯৮২ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল। ২০০০ সালে তা একশ’ শয্যায় উন্নীত হয়। বর্তমানে হাসপাতালটিকে আড়াইশ শয্যায় উন্নীত করতে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে।

প্রতিদিন শত শত রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই দরিদ্র। তাদের কল্যাণে আলট্রাসোনোগ্রামের দু’টি অত্যাধুনিক মেশিন স্থাপন করা হয়।

কিন্তু রোগীরা যখন আলট্রাসোনোগ্রাম বা ইসিজি ও এক্সরে করতে হাসপাতালে আসেন, তখন তারা পড়েন চরম ভোগান্তিতে।  কারণ হাসপাতালে এই তিনটির কোনটারই টেষ্ট হয়না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলট্রাসোনোগ্রামের দু’টি অত্যাধুনিক মেশিন রয়েছে হাসপাতালে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক না থাকার অজুহাতে প্রথম দুই বছর বন্ধ থাকে কার্যক্রম।  এরপর আরও দুই বছর ধরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে হাসপাতালেই পড়ে থাকছে মেশিন দু’টি।

এ অবস্থায় রোগীদের কয়েকগুন বেশি টাকা দিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টাগুলো থেকে এসব পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। রোগীদের অভিযোগ, সরকারিভাবে হাসপাতালে রোগীদের ১শ’ থেকে ২শ’ টাকার মধ্যে আলট্রাসোনগ্রাম করা সম্ভব হতো। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দিতে হচ্ছে ৮শ’ টাকা। একজন দরিদ্র রোগীর জন্য যা বাড়তি বোঝা।  চরম এই দূভোর্গের অবসান চান তারা।

ফিল্ম না থাকার অজুহাতে প্রায়ই বন্ধ থাকছে ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটিও। আর যান্ত্রিক ত্রটির কারনে ইসিজি মেশিনটিও মাঝেমধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। রোগীদের অভিযোগ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের সাথে হাসপাতালের কিছু কর্মচারীর যোগসাজসে ঘটছে এমন ঘটনা। বছরের পর বছর ধরে  জেলার প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্রের এই দূরাবস্থা ও ভোগান্তির অবসান চেয়ে বারবার প্রশাসনের কাছে দাবি জানালেও   দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না ভুক্তভোগীদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালি দাবি করেন, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সেবার মান সন্তোষজনক। অন্যান্য প্যাথলজি টেষ্ট এ হাসপাতালে তুলনামূলক বেশি হচ্ছে। আর ইসিজি ও এক্সরে  মেশিন ঠিক করা হয়েছে।  খুব শিগগিরই আলট্রাসোনোগ্রাম মেশিনটিও সচল করার আশ্বাস দেন তিনি।


আরও দেখুন: