স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়ানোই যথেষ্ট নয়, কাঠামোগত পরিবর্তনও জরুরি
বাজেটে স্বাস্থ্য বরাদ্দ ৫ শতাংশের আশেপাশে থেকে যাচ্ছে, যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানো দরকার।
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কেবল বরাদ্দ বৃদ্ধিতে আটকে না থেকে পুরো স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাজেট পরবর্তী অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তারা এই আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারপারসন ড. আতিউর রহমান সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, বাজেট প্রণেতারা ব্যয় সক্ষমতার বিবেচনায় যথার্থভাবেই এবারের বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থেকেছেন। তবে তার মতে, এক্ষেত্রে আরেকটু সাহসী ও উদার হওয়া যেতো।
ড. আতিউর বলেন, এই মুহূর্তে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক শক্তির বিবেচনায় বাজেট ঘাটতি কিংবা প্রবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো নিয়ে ভাবিত না হয়ে বরং আসন্ন অর্থবছরের মধ্যেই নাগরিকদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের জন্য করোনার টিকা নিশ্চিত করাটিই মূলবিবেচ্য হওয়া উচিত।
এ জন্য ‘স্মার্ট ডিপ্লোমেসি’এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের কার্যকর সহায়তা দরকার হবে বলে মনে করেন তিনি।
সূচনা বক্তব্যে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের কনভেনার ড. মুশতাক রাজা চৌধুরী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বাজেটে স্বাস্থ্য বরাদ্দ ৫ শতাংশের আশেপাশে থেকে যাচ্ছে যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানো দরকার।
তার মতে, এর চেয়েও বড় ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষগুলোর এই অপ্রতুল বরাদ্দও পুরোপুরি ব্যয় করতে না পারা। তাই এই বাজেট বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য নীতিনির্ধারকদের আরও উদ্যোগী হওয়া দরকার বলে মত দেন ড. মুশতাক রাজা চৌধুরী।
প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ বরাদ্দকৃত অর্থের অপচয় রোধে স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানো এবং বাস্তবায়ন দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের সদস্য এবং পপুলেশন কাউন্সিলের সভাপতি ড. উবায়দুর রব বলেন, দেশের নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে আনুমানিক ১.৫ বিলিয়ন ডলার দরকার হবে।
তার মতে, বাংলাদেশ সরকার চাইলেই এ পরিমাণ অর্থ রিজার্ভ থেকে ঋণ করতে পারে। তাতে সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর ওই অর্থে বড় চাপ পড়বে না।