ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসায় বিএসএমএমইউতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ অকুলোপ্লাস্টি সার্জনস সোসাইটি আয়োজিত সিম্পোজিয়ামে অংশ নিয়ে তিনি একথা জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ অকুলোপ্লাস্টি সার্জনস সোসাইটি আয়োজিত সিম্পোজিয়ামে অংশ নিয়ে তিনি একথা জানান।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ইতোমধ্যে চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ, কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগ, নাক কান ও গলা বিভাগ, নিউরোসার্জারি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে একটি কর্নার চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে দু-একজন রোগী ছাড়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। এই রোগে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো রোগী মারা যায়নি। তাই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আমরা আতঙ্কিত হবো না। সচেতন হবো এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোগটিকে প্রতিরোধ করবো।
সিম্পোজিয়ামে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং অনুষদের ডীন নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, সোসাইটির সম্মানিত মহাসচিব অধ্যাপক ডা. গোলাম হায়দার, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান ও গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. শেখ হাসানুর রহমান।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জাফর খালেদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী, কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শওকত কবীর, কনস্যালটেন্ট ডা. নিরুপম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোমেশন কার্যক্রমের সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন আইটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
এ সময় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট আপডেট করা, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আউটডোর পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও রোগীদের ডাটাবেজ তৈরি ও সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং অটোমেশন কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানান।