নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতে যা জানা জরুরি
এখনো সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি বছর ৪ হাজার ৭২০ জন গর্ভবতীর মৃত্যু হয়
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ (শুক্রবার)। করোনা মহামারির কারণে এবার দিবসটি সীমিত পরিসরে পালন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘করোনাকালে গর্ভকালীন সেবা নিন, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু রোধ করুন।’
গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়ে সকল নারীর জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই হলো নিরাপদ মাতৃত্ব। দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ভিডিও কনফারেন্স হবে। ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ম্যাটারনাল মর্টালিটি অ্যান্ড হেলথ কেয়ার সার্ভে (বিএমএমএস), স্যাম্পল ভাইটাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (এসভিআরএস) এবং ইউএন (ইউনাইটেড নেশন) ইস্টিমেট সূত্রে জানা গেছে, দেশে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু আগের তুলনায় কমেছে। ৯০-এর দশকে প্রতি ১ লাখ জীবিত শিশু জন্ম দিতে গিয়ে যেখানে ৫৭৪ জন নারীর মৃত্যু হতো, ২০১৯ সালে তা ১৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে এখনো সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি বছর ৪ হাজার ৭২০ জন গর্ভবতীর মৃত্যু হয়। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ১৩ জন গর্ভবতীর মৃত্যু হয়।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী, দেশে মাতৃমৃত্যু লাখে ৭০ জনে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে করোনা মহামারিতে এক বছরের বেশি গর্ভবতীদের সেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে প্রথম সন্তান প্রসবের পর তিন বছর বিরতি নেওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে গর্ভবতীদের ভারি জিনিস বহন না করা, নিয়মিত টিকা নেওয়ার পাশাপাশি অ্যান্টিনেটাল কেয়ার বা পোস্ট নেটাল কেয়ার নেওয়া এবং বাড়িতে প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত ক্লিনিক ও হাসপাতালে নেওয়ার জন্য স্বজনদের পরামর্শ দেন তারা।