স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করলেন ডা. আমজাদ হোসেন

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2021-05-20 07:50:59
স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করলেন ডা. আমজাদ হোসেন

ল্যাবএইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক ও আর্থোপ্লাস্টি সেন্টারের চিফ কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রধান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে এ পুরস্কার তুলে দেন।

অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন সমাজসেবা/জনসেবা ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার পান। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

নয় জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।

পুরস্কারপ্রাপ্ত নয় ব্যক্তি হলেন- মরহুম এ কে এম বজলুর রহমান (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ), শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ), মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ), মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ), ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি), মহাদেব সাহা (সাহিত্য), আতাউর রহমান (সংস্কৃতি), গাজী মাজহারুল আনোয়ার (সংস্কৃতি), অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন (সমাজসেবা/জনসেবা)। পুরস্কার পাওয়া প্রতিষ্ঠান হলো- বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (গবেষণা ও প্রশিক্ষণ)।

সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার প্রদান করে আসলেও এবার করোনা মহামারীর কারণে বিলম্ব হয়।

স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

এক নজরে অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন

ল্যাবএইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক ও আর্থোপ্লাস্টি সেন্টারের চিফ কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন। এছাড়াও তিনি সার্কভুক্ত আটটি দেশের অর্থোপেডিক সার্জনদের সংগঠন অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন অব সার্ক কান্ট্রিজের সভাপতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করছেন।

অর্থোপেডিক সার্জন অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় উরুতে গুলিবিদ্ধ হলে ভারতের সামরিক হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতে দেশে আসা আন্তর্জাতিক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন ডা. আর জে গাস্টের অধীনে অর্থোপেডিক চিকিৎসা শুরু করেন। 

অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে দেশে কোমর ও হাঁটু প্রতিস্থাপন (হিপ অ্যান্ড নি রিপ্লেসমেন্ট) সার্জারিতে এসেছে বৈপ্লবিক সাফল্য। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি এ ধরনের সার্জারি সম্পন্ন করেছেন এ চিকিৎসক।


আরও দেখুন: