পত্মীতলায় ব্লাড ডোনারদের মিলন মেলা
নওগাঁর পত্নীতলায় ৩ হাজার ব্যাগ রক্তদান পূর্তিতে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এজেড মিজানসহ অতিথিরা।
নওগাঁর পত্নীতলায় রক্তদাতাদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় এ জেড মিজানের উদ্যোগে ৩ হাজার ব্যাগ রক্তদান পূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৫শত ডোনার অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১৩ সালে নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বণিক কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এক অসহায় ব্যক্তিকে রক্তদান করেন। এ সময় থেকেই মানুষকে রক্ত দিয়ে জীবণ বাঁচানোর মহতী উদ্যোগের চিন্তা তাঁর মাথায় ঘুরপাক খেতে শুরু করে। প্রাথমিক অবস্থায় আত্বীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের তালিকা করে রক্ত দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে শুরু করেন। একজনের রক্তে অন্য জনের জীবন বাঁচার পর বেঁচে যাওয়া ব্যক্তির সুখের হাসি রক্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে তাঁর নেশায় পরিণত হয়।
বর্তমানে তার প্রেরণায় রক্তদাতার সংখ্যা ২ হাজার ২৩৪জন। যারা এ পর্যন্ত প্রায় ৩হাজার ২০০ ব্যাগ রক্ত দান করে অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন। এই রক্তদাতাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো মানুষের জীবণ বাঁচানোর তাগিদে তারা নিজ খরচে উপজেলার বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে রক্ত দান করে থাকেন।
রক্তের ফেরিওয়ালা খ্যাত এ. জেড মিজানের উদ্যোগে সংগ্রহ করা ৩ হাজার ব্যাগ রক্তদান পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিলন মেলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. হানজালার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খালিদ সাইফুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পিযুষ কুমার, দপ্তর সম্পাদক বজলুর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. দেবাশীষ রায়, নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বস্ত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন সাগর, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন পারভেজ, ব্লাড ডোনার নাজমুন নাহার জুসি, জীবন নাহার, কামাল হোসেন, সুদর্শ কুমার রিপন, সৈকত মোস্তাক আহমেদ হোসেন, আবু সায়েম, আবু রায়হান, ফিরোজ মান্নান বিপ্লব প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ডা. খালিদ সাইফুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, উপজেলা পর্যায়ে ব্যক্তি উদ্যোগে এত বেশি সংখ্যক মানুষকে রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার ঘটনা বিরল। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তা ও রক্তদাতাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
এ বিষয়ে আয়োজক এ, জেড মিজান বলেন, ৩ হাজার ব্যাগ রক্তদান সম্পন্ন হলে রক্তদাতাদের সম্মানিত করার জন্য তাদের নিয়ে মিলনমেলার চিন্তা মাথায় আসে। আগামী দিনগুলিতে রক্তদাতার সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে অধিক মানুষকে সেবা প্রদানের প্রচেষ্টা চলমান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।