দেশবাসীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ঈদের বিশেষ বার্তা
অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমদ ও অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা।
আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর। একমাস সিয়াম সাধনা শেষে আজকের দিনটি প্রতিটি মুসলমানের জন্য বিশেষ আনন্দের। করোনার মহামারির কারণে গত দুই ঈদের মত নানা বিধিনিষেধ ও শঙ্কার মধ্যে ঈদ উদযাপন করছে দেশবাসী। গতবারের মতো এবারও বিশেষ করে চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঈদ এবারও হাসপাতালেই করতে হচ্ছে।
এব্যাপারে দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক ডক্টর টিভিকে বলেন, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পরে আমাদের মাঝে ঈদ এসেছে। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। এই ঈদে সবাই চেষ্টা করবে যতোটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার।
দেশবাসীর উদ্দেশে একুশ পদক প্রাপ্ত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার ডক্টর টিভিকে বলেন, এক মাস মাহে রমজানের সংযমের পরে আমাদের মাঝে এসেছে ঈদুল ফিতর। এই ঈদে সকলে প্রতি আমাদের বার্তা, আমরা অবশ্যই মাস্ক পরবো এবং ঘন ঘন হাত ধুয়ে নেবো, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলবো। সবাই সুস্থ থাকবেন, সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমদ বলেন, সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছ। এই আমরা সবাই একটি বিষয়ই মাথায় রাখবো, এই ঈদে যেন আমরা ঘর থেকে বের না হই। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে না যাই। করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে আমর সবাকে এটাই আহ্বান জানাই আপনারা সবাই ঘরেই এবারের ঈদ আনন্দ উপভোগ করুন।
ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান্দ বানু বলেন, এবারের ঈদ অন্যান্য ঈদের মতো নয়। এই ঈদে আমরা অনেককে হারিয়েছি। সেই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ইদুল ফিতর। এই ঈদেও আনন্দ থাকবে তবে সেটা স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। এজন্য গর্ভবতী মায়েদেরেকে বলবো এই সময়ে তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে। এজন্য তাদেরকে বেশি সচেতন থাকতে হবে।
দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক। ঈদ মুসলমানের জীবনে আনন্দ এবং আবেগের। করোন বাস্তবতায় আমরা এবারের ঈদ উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করতে পারছি না। এর পরেও আমদেরকে বিকল্প উপায়ে এই আনন্দ উপভোগ করতে হবে। নামাজের ক্ষেত্রে মসজিদে সামাজিক দুরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। একই সঙ্গে আত্মিয় স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে না গিয়ে ঘরেই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে হবে। ভার্সুয়ালি যুক্ত হয়ে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি। খাবারের ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত খাবর কখনই খাবো না। উৎসব বলে বেশি খাবার না খেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি করে খেতে হবে।
জাতীয় সংসদ সদস্য ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, বছরে একবারই ঈদুল ফিতর আসে। এই ঈদে আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করবো নিজ নিজ স্থানে থেকেই ঈদ উদযাপন করবেন। শহর থেকে গ্রামে গেলে সেখানেও করোনার প্রভাব বিস্তার করতে পারে। সবাইকে ঈদেরে শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, এবারের ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে, আমারা বাড়িতে থেকেই যেনো ঈদ উদযাপন করি। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।