লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার
ছবি- সংগৃহীত
করোনা সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারাদেশে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের লকডাউন। তবে পরবর্তী লকডাউনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
সারা দেশে চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না- জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেখি আমরা সাত দিন পর কী অবস্থা হয়। বৃহস্পতিবার আমরা রিভিউ করব। মানুষকে তো কো-অপারেট করতে হবে। আপনারা তো বলছেন। সবাই যদি একটু মাস্ক পরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, তবে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে আগামী সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। এ দফায় আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত থাকবে এই লকডাউন।
এ সময় মানুষের কাজ ও চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে করা হবে। জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছুই বন্ধ থাকবে। চলবে না কোনো গণপরিবহন। অভ্যন্তরীণ পথে উড়বে না উড়োজাহাজও। বন্ধ থাকবে যাত্রীবাহী ট্রেনও।
লকডাউন চলাকালে জরুরি কাজের জন্য সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ব্যবস্থায় কর্মীদের অফিসে আনা-নেওয়ার নির্দেশনা সরকারের। একইভাবে শ্রমিকদের আনা-নেওয়ার শর্তে শিল্পকারখানা ও নির্মাণকাজ চালু রাখা যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।