রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনে দুই হাসপাতাল পুড়ে ছাই, নিহত ১৫
অগ্নিকাণ্ডের পর ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে যান ব্র্যাকের প্রতিনিধি দল। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই হাসপাতাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৫জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
তবে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা নিশ্চিত না হয়ে মৃতের সংখ্যা বলছি না। এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে ১১ জন। এর বাইরে অন্য কেউ যদি অন্য কিছু বলে থাকে সেটা আমরা এখনো ভেরিফাই করতে পারি নাই।"
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল বলেন, আগুনের কারণে রোহিঙ্গাদের ঘর ছাড়াও স্থানীয়দের কিছু ঘর পুড়ে গেছে। এছাড়া শিবিরে থাকা দুটি হাসপাতালও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা নিজেদের ঘর হারিয়েছে তাদেরকে শিবিরেই অস্থায়ী তাঁবু টাঙিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছে রেড ক্রিসেন্ট-সহ কিছু বেসরকারি সংস্থা। খাবার এবং পানিও সরবরাহ করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা শিবিরে ৯ হাজারের কিছু বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও বেসরকারি সংস্থাগুলোর হিসেবে এই সংখ্যা আরো বেশি।
ইউএনএইচসিআর তাদের বিবৃতিতে বলছে, প্রায় ৪০০ মানুষ সেখানে নিখোঁজ আছে এখনো। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করছে তারা।
অবশ্য এসব তথ্যও নিশ্চিত করছে না বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তারা বলছেন, নিখোঁজ যাদের উল্লেখ করা হচ্ছে, কিছুসময় বাদে দেখা যাচ্ছে তাদের কেউ কেউ ফিরে আসছেন।
উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এলাকাটি অনেক বড়। অনেক মানুষ স্বজনদের কাছ থেকে ছিটকে পড়েছেন। সেখানে নিখোঁজ অনেকে ছিল তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। কেউ হয়তো তার ভাইকে পাচ্ছে না, সকাল বেলা পায় নাই, ১১টার দিকে হয়তো খুঁজে পেয়েছে। নিখোঁজদের বিষয়টা ওইভাবে বলা যাচ্ছে না।"
বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ক গ্রুপ ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেটর গ্রুপ-আইএসসিজি বলছে, আগুনে ১০ হাজারের মতো বাড়ি-ঘর পুড়ে গেছে। ঘরহারা হয়েছে ৪৫ হাজারের মতো মানুষ।
তবে এই সংখ্যা আগুন লাগার পর ক্ষয়ক্ষতির প্রথম ২৪ ঘণ্টার একটি চিত্র বলে জানায় গ্রুপটি।
ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট পরিমাণ জানতে এখনো কাজ চলছে বলে জানানো হয়। ভবিষ্যতে এই পরিমাণ বাড়তে পারে বলেও জানায় গ্রুপটি।
সেদিন কী ঘটেছিল?
সোমবার বিকাল চারটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং এরপর কয়েক ঘণ্টা ধরে এ আগুনে পুড়ে যায় রোহিঙ্গাদের শত শত ঘর।
শুরুতে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তা না কমে বরং ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকায়।
খবর পেয়ে দমকলসহ নানা সংস্থার লোকজন ছুটে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মধ্যরাত হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত রাত একটা নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বলা