এশিয়ার অন্যতম সেরা হাসপাতাল হবে ঢাকা মেডিকেল

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2021-03-21 03:33:34
 এশিয়ার অন্যতম সেরা হাসপাতাল হবে ঢাকা মেডিকেল

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক

ঢাকা মেডিকেল হবে এশিয়ার অন্যতম সেরা হাসপাতাল বলে মন্তব্য করেছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. নাজমুল হক।

তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করার ক্ষেত্রে কাজ চলছে। যেটা এশিয়ার মধ্যে অন্যতম হাসপাতাল হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

ডক্টর টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন কিছুদিন আগে মন্ত্রণালয়, বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল কে ৫০০ বেডের একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল, যেটা এশিয়ার মধ্যে অন্যতম হাসপাতাল হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদের এখানে একজন টিএ কনসালটেন্ট যেটাকে আমরা বলি টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কনসালটেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডিজাইন মহাপ্রণয়নের কাজ করছেন। অদূর ভবিষ্যতে, খুব শীঘ্রই এ কার্যক্রম অলরেডি ইতিমধ্যে আমরা ডিজাইন প্রণয়ন, হোমওয়ার্ক আমরা করছি।

হোম ওয়ার্ক বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য খুব শীঘ্রই কাজগুলি শুরু হবে কয়েক মাসের ভেতরেই।  প্রাথমিক কাজ শুরু এটা যখন সম্পন্ন হবে আশা করি এ সমস্যা থাকবে না।  আমাদের যে প্রত্যাশা সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল সেবা দিতে পারবে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক আরও বলেন, আমাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো, যে জনবল নিয়ে ঢাকা মেডিকেল চলছে তা অনেক পুরাতন। চিকিৎসক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি, কিন্তু প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সার্বিকভাবে চিকিৎসক স্বল্পতার মাঝে রোগীদের যে চাপ এটা আমাদের চোখে পড়ছে।

বহির্বিভাগের সার্বিক বিষয়ে জানতে হাসপাতালটির পরিচালক এক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, বহিরর্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় চার হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসে।  মেডিসিন, নাক-কান-গলাসহ কয়েকটি বিভাগে চিকিৎসকের সংকট বেশি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক আরও বলেন, প্রতিদিন আমরা একটা নির্দিষ্ট সময়ে সকাল ৮টা থেকে ১২টা একটা পর্যন্ত আউটডোর সেবা চলে। এছাড়াও ইমারজেন্সিতে আউটডোর সেবা রয়েছে। ওই সময়টাতে আমাদের এখানে ঢাকার আশপাশসহ সারা দেশ থেকে থেকে যাকে আমরা ক্যাচমেন্ট এরিয়া বলি সেখান থেকে আমাদের সেবা প্রত্যাশীরা এসে থাকেন।

তিনি বলেন, সব রোগীদেরকে আমরা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের এখানে প্রায় ৪৯টি সাব স্পেশালিটি রয়েছে। বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে, বিভাগের ভেতর বিশেষ বিভাগ রয়েছে। তো সব ধরনের সেবাই আমরা দিয়ে থাকি। সার্জারি, গাইনি, মেডিসিন এবং পেডিয়াট্রাইক্সসহ অন্যান্য বিশেষায়িত সেবা ব্যবস্থা আমাদের রয়েছে।  যার জন্য ঢাকার আশপাশে থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী আমাদের এখানে এসে থাকেন। তাদের ধারণা যে তারা এখানে আসলে সর্বোচ্চ চিকিৎসাটা পাবেন। আমাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো এবং জনবল নিয়ে চলছে, এটা অনেক পুরাতন একটা সাংগঠনিক কাঠামো। আমাদের রিভাইস যে সাংগঠনিক-কাঠামো সেটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমান সরকার এটাকে বিশেষ নজর দিয়েছে। এগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য বলেছেন মন্ত্রণালয়। আমরা জানতে পেরেছি যে, তারা এখানে জনবল নিয়োগ, নতুন সাংগঠনিক কাঠামোতে কিভাবে আরো জনপ্রিয় করা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু আমাদের যে পুরাতন সাংগঠনিক কাঠামো সেখানে আমরা জনবল, চিকিৎসক সংখ্যাও সেখানে রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন আমাদের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরমধ্যে কভিড সিচুয়েশনে আমাদের ডক্টরদের স্প্লিট করে ডিউটি করতে হয়েছে। তো সার্বিকভাবে ডক্টর স্বল্পতার পাশে রোগীদের যে চাপ সেটা আমাদের চোখে পড়ছে। এটা বাস্তবতা যে পুরাতন সাংগঠনিক কাঠামোর প্রেক্ষিতে বর্তমানে রোগীদের যে চাপ রয়েছে সেটা এখন প্রকট।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, যেখানে আমরা দেখতে পাই অনেক বেশি রোগী হয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে এখানে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসক রয়েছেন ট্রেনিং করতে আসেন। সিনিয়ররা ট্রেনিং করতে আসেন পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা পোস্ট গ্রাজুয়েশন করতে আসেন। তাদেরকে আমরা নীট বেইজে ওখানে কাজ করতে দেই। তখন রোগীদের কিছুটা সুবিধা হয়। যে ভিড় হয় তা সাময়িকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করি।


আরও দেখুন: