মহান বিজয় দিবসে বিএসএমএমইউর নানা আয়োজন
ছবি কৃতজ্ঞতা : মো. আরিফ খান
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার নিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় বি ব্লকের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এ ব্লকে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, রক্তদাতাদের বিনামূল্যে হেপাটাইটিস বি, সি, ম্যালেরিয়া, এইচআইভি, সিফিলিস রোগের স্ক্রিনিং টেস্ট করাসহ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
পরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন চিকিৎসকরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে সকাল ১০টায় বি ব্লকের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, অফিসপ্রধানগণ, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীবৃন্দ পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া স্যার এ ব্লকে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রম হারানো দু’ লক্ষ মা বোনের অসীম ত্যাগ, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারবর্গের সদস্যদের দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জুলফিকার আহমেদ আমিন।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, আমরা এক সাগর রক্তের বিনিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয় অর্জিত হয়েছে। বাংলার দামাল ছেলেরা পাকিস্তানের তৎকালীন চৌকস সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে রক্তের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ কারো দয়ায় স্বাধীন হয়নি বা কারো দয়ায় আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করিনি। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবগাঁথা বিজয়কে আরো মহিমান্বিত করতে আমাদেরকে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থানে অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সততা ও আন্তরিকতার সাথে, সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই মহান আয়োজনের নানা কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, নার্সিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বিএম আব্দুল হান্নান, নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম জহিরুল হক সাচ্চু, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, অধ্যাপক ডা. শিউলী চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী একেএম হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ জিল্লুর রহমান ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. নাজমুল করিম মানিক, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. তৌহিদ সাইফুল হোসেন দিপু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ আলী ইমরান, সহকারী অধ্যাপক ডা. হাসান ইমাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিট, সহকারী পরিচালক ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, সহকারী পরিচালক ও মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের পি.এস মোঃ আমিনুল ইসলাম (পলাশ), সহকারী পরিচালক ও সম্মানিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মহোদয়ের পিএস মোঃ মোক্তার হোসেন, সহকারী পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নয়ন প্রমুখ। ছবি: মোঃ আরিফ খান।