এক চিকিৎসক তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত!
ডা. নিহার রঞ্জন দাস
ডা. নিহার রঞ্জন দাস নামের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক ইনডোর মেডিকেল অফিসার তৃতীয়বারের মতো করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
১৮ এপ্রিল অল্প উপসর্গসহ প্রথম করোনা আক্রান্ত হন ডা. নিহার রঞ্জন। ১৩ মে সুস্থতা নিশ্চিত হয়ে আবারও লেগে পড়েন রোগী সেবার কাজে। দেড় মাসের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো কোভিড-১৯ পজেটিভ আসে। এর ১৭ দিন পর সুস্থ হন তিনি।
এদিকে, ১৬ অক্টোবর পুনরায় দেখা দেয় উপসর্গ। তৃতীয়বারের মতো করোনা আক্রান্তের খবর পান ডা. নিহার। সিটি স্ক্যান রিপোর্ট বলছে, এবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ফুসফুসের ২০ ভাগ।
ডা. নিহার রঞ্জন গণমাধ্যমকে বলেন, বলা সত্যি কঠিন। কখন কিভাবে তৃতীয় দফা আক্রান্ত হয়েছি। তবে এটা ঠিক, হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনো সূত্র নেই- যেখান থেকে এই ভাইরাস আমার শরীরে আসতে পারে।
তাহলে সুস্থ হওয়ার পর তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি কী সুরক্ষা দিতে পারলো? অন্যদের বেলায়ও কী হতে পারে এমন?
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-প্রধান ডা. পে ইয়ো মনে করেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এটা হতে পারে।
চীনের গ্লোবাল টাইমসকে ডা. ইয়ো বলেছেন, নিঃসন্দেহে এটা একটি বিরল ঘটনা। তিনি বলেন, দেহে এন্টিবডি দুর্বল হয়ে গেলে এমনটা হয়ে থাকে। এইক্ষেত্রে ডা. দাশের হয়তো তার শরীরেই লুকিয়ে ছিল। দ্বিতীয়বার যখন আক্রান্ত হন তখন এন্টিবডি দুর্বল থাকায় প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, প্রথম সংক্রমণের ছয় মাসের মধ্যে জীবাণু শরীরে থেকে যেতে পারে। এ কারণে সম্ভবত ডা. নিহার রঞ্জন তৃতীয় দফা আক্রান্ত হয়েছেন।