স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন দুই চিকিৎসক

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2020-10-29 04:34:41
স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন দুই চিকিৎসক

প্রতিবারের মতো এ বছরও স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এবার চিকিৎসাবিদ্যায় পুরস্কার পেলেন অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. এ কে এম এ মুক্তাদির।

বৃহস্পতিবার সকালে (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পুরস্কারে ভূষিতদের হাতে পদক তুলে দেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

ডা. উবায়দুল কবীর চৌধুরী বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৫ সালে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চর্মবিজ্ঞান এবং ভেনেরোলজি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল, আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোপাথোলজিস্ট-সহ বিভিন্ন মেডিকেল ইনস্টিটিউট থেকে চর্ম ও যৌনরোগের উপরে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।

অবসরের পর শমরিতা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন ডা. উবায়দুল কবীর চৌধুরী। ২০০৩ সালের পর ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডার্মাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

ডা. এ কে এম এ মুক্‌তাদির বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ। তিনি ১৯৭৫ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৭৬ সালে গৌরীপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে চক্ষু ক্যাম্প শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০৩ পর্যন্ত সেখানেই ক্যাম্প চালান। তিনি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান।

এই দুই চিকিৎসক ছাড়াও এবছর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য বাকি মনোনীতরা হলেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, মরহুম কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ, মরহুম মুহম্মদ আনোয়ার পাশা ও আজিজুর রহমান; সাহিত্যে মুক্তিযোদ্ধা এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদ এবং সংস্কৃতিতে কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার। এ ছাড়া শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমস্‌ এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছে।

১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক এই সম্মাননা দিয়ে আসছে। এতে- পাঁচ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে এবার। পূর্বে অর্থের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ টাকা। এবার থেকে অর্থের পরিমাণ ২ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।


আরও দেখুন: