'করোনা ভ্যাকসিন কোথা থেকে পেতে পারি সেটা পর্যালোচনা হচ্ছে'

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2020-10-25 07:23:02
'করোনা ভ্যাকসিন কোথা থেকে পেতে পারি সেটা পর্যালোচনা হচ্ছে'

ফাইল ছবি।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এটাও পর্যালোচনা করা হয়েছে কোথা থেকে ভ্যাকসিন পেতে পারি। এটা নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ ফুল ফেজে জারি আছে। আশা করি আমরা প্রথম দিক থেকে আমাদের ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ পুরোদমে কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে প্রথম দিক থেকেই আমাদের ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

রবিবার (২৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রীসভা বৈঠকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রম মন্ত্রীসভাকে অবহিত করা হলে এ তথ্য জানানো হয়।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সচিবালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা এতে অংশ নেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব জানান, চীন করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ফেজে ট্রায়াল চালাতে চাইলেও তা আর এগোয়নি। আর ভ্যাকসিন ট্রায়ালে বাংলাদেশের কাছে চীন কিছু টাকা চাইবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, তারা ওটা নিয়ে কাজ করছে। সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ে অ্যাফোর্ড বিরাজমান।

চীনের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল আটকে আছে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, না আটকে নেই। আমরা তো তাদের পারমিশন দিয়ে রেখেছি। তাদের ফান্ডিংয়ের একটা সর্টেজ আছে, সেজন্য ওটা নিয়ে তারা আলোচনা করছে। বাংলাদেশের কাছে সম্ভবত অ্যাপ্রোচ করবে যে বাংলাদেশ থেকে কিছু ফান্ডিং করা যায় কিনা।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, আমি ডেট বলতে পারবো না। তবে সেটা খুব ভালোভাবে এগোচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নিয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রাথমিক পর্যায় থেকে ইন্টারন্যাশনাল প্রিপেয়ার্ডনেস রেসপন্স প্ল্যান ফর কোভিড-১৯ প্রণয়ন করেছিল। বর্তমানে ৯৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হচ্ছে, যার মধ্যে ৫০টি বেসরকারি।

প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক ও চার হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটা করোনা হ্যান্ডেল করার ক্ষেত্রে বড় অবলম্বন হিসেবে কাজ করেছে। এর বাইরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আউট সোর্সিংয়োর মধ্যে দুই হাজার ৬৫৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করেছে।


আরও দেখুন: