ডা. ফজিলা-তুন-নেসার নেতৃত্বে বিশ্ব স্বীকৃতি পেল চিকিৎসকদল

মোকাররম হোসাইন
2020-10-25 06:11:28
ডা. ফজিলা-তুন-নেসার নেতৃত্বে বিশ্ব স্বীকৃতি পেল চিকিৎসকদল

অধ্যাপক ডা. ফজিলা-তুন-নেসা মালিক। ফাইল ছবি।

ইংল্যান্ড ও জাপানের চিকিৎসকদের পেছনে ফেলে হার্টের চিকিৎসায় বিশ্ব স্বীকৃতি পেলো দেশের একদল চিকিৎসক। জটিল এনজিওপ্লাস্টি বা হার্টে রিং বসিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট। প্রতিষ্ঠানটির কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফজিলা-তুন-নেসা মালিক এর নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এই সম্মান অর্জন করেছেন।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউরোপিয়ান বাইফার্কেশন ক্লাব একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগঠন; যারা জটিলতর করোনারি হৃদরোগের চিকিৎসা, গবেষণা, জটিল এনজিওপ্লাস্টি পদ্ধতির গাইডলাইন প্রস্তুত নিয়ে কাজ করে থাকে। প্রতি বছর এই সংস্থা বিশ্বের সেরা তিনটি জটিল এনজিওপ্লাস্টি'কে সম্মাননা দেন।

এবছর সংস্থাটির এই সম্মানে ভূষিত হয়েছে বাংলাদেশের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্স ইন্সটিটিউট-এর কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিকের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল। এই দলের একটি জটিল এনজিওপ্লাস্টি (স্টেনটিং বা রিং বসানো) প্রসিডিউরকে বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রসিডিউরগুলোর মধ্যে সেরা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইংল্যান্ড ও জাপানে হওয়া প্রসিডিউরগুলো দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

বিবৃতিতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বলছে, এটি বাংলাদেশের জন্য বিরল গৌরবের। হৃদরোগের চিকিৎসা জগতে বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সেটিরই প্রমাণ এটি।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ একটি অলাভজনক, সেবামূলক, সরকার কর্তৃক সাহায্যপুষ্ট ও অনুমোদিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক কিছু সংখ্যক ডাক্তার ও অন্যান্য পেশার সমাজসেবীদের নিয়ে ১৯৭৮ সালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করেন।

সূত্র বলছে- প্রতিষ্ঠানটিতে ১৯৯৯ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২০ আগস্ট মাস পর্যন্ত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৪টি ক্যাথল্যাব প্রসিডিউর ও ৩২ হাজার ৮৬৩টি কার্ডিয়াক অপারেশন হয়েছে।


আরও দেখুন: