ডা. সামন্ত লালের জীবনের গল্প
ডা. সামন্ত লাল সেন।
বাংলাদেশে চিকিৎসা অঙ্গনে এক পরিচিত নাম ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি দেশে বিশ্বমানের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসার নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছেন। এদেশের প্রথম বার্ন ইউনিটের যাত্রাও শুরু করেন তিনি। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৫শ' শয্যা বিশিষ্ট শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি প্রতিষ্ঠিত হয়। ডা. সামন্ত লাল সেন প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিযুক্ত আছেন। সমগ্র বাংলাদেশের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির চিফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবেও অধিষ্ঠিত রয়েছেন। তার জীবনের গল্প এই বার্ন ইন্সটিটিউটকে ঘিরে। ডক্টর টিভিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন তার শৈশব-কৈশোরের গল্প। এছাড়াও জানিয়েছেন দেশে বিশ্বমানের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসার নেপথ্যের নানা গল্প। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডা. শারমিন আক্তার
ডক্টর টিভি: আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে চাই। আপনার জন্মস্থান, শৈশব, কৈশোর ও বেড়ে ওঠার গল্প বলুন।
ডা. সামন্ত লাল সেন: ধন্যবাদ। আমার জন্ম হচ্ছে হবিগঞ্জের মাগুরা ফার্ম বলে একটা অজ-পাড়াগাঁয়ে একটা কৃষি ফার্ম ছিল। ওই সময় ওই জায়গায় তো কোনো ইলেকট্রিসিটি ছিল না। ১৯৪৯ সালে সিলেট হবিগঞ্জের মাগুরাতে আমার জন্ম৷
ওইখানেই আমার প্রথম হাতেখড়ি স্কুল যেটাকে বলা হয়। তখন তো এরকম স্কুল ছিল না। আমাদের স্কুল যেটা তৈরি হয়েছিল সেটা আমার বাবাই তৈরি করেছিলেন, প্রথম একটা পাঠশালা। ওইখানেই আমার প্রথম হাতেখড়ি হয়। তখন আমরা বেঞ্চ-টেলেন্ট দিয়ে লেখাপড়া করতাম। এখনকার মতো অত্যাধুনিক কোনো কিছুই ছিল না।
সম্ভবত ক্লাস ফাইভ, সিক্স পর্যন্ত এখানে পড়েছিলাম। তারপরে আমরা কুষ্টিয়া এবং পরে দিনাজপুরে, যেহেতু আমার বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন, কৃষিবিদ। সুতরাং চাকরির সূত্রে আমাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়েছে। আমরা কুষ্টিয়াতে আসলাম। পরবর্তীতে দিনাজপুরে আমি মেট্রিক পাস করি এবং ইন্টারমিডিয়েট পাস করি।
দিনাজপুরে তখন সৈন্দ্রনাথ কলেজ ছিল এবং সেন্ট ফিলিপ হাইস্কুল ছিল একটা। ওইখান থেকেই আমি আমার মেট্রিক এবং ইন্টারমিডিয়েট পাশ করি। এর পরবর্তীতে তো মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা ছিল। এই হলো আমার সংক্ষিপ্ত বাল্যজীবন এবং লেখাপড়ার কথা।
ডক্টর টিভি: আপনি মেডিকেলে কি নিজের ইচ্ছায় এসেছেন নাকি পরিবারের চাপে পড়ে এসেছেন? মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার প্রেরণা কীভাবে পেয়েছিলেন?
ডা. সামন্ত লাল সেন: মেডিকেল আসার সম্পূর্ণ ইচ্ছা ছিল আমার বাবা-মায়ের। বিশেষ করে আমার বাবার। আমার বাবা চাচ্ছিলেন, আমি যেনো ডাক্তার হই। আর এজন্যেই বাবার উৎসাহেই কিন্তু মেডিকেলে আসা। আমারও ইচ্ছে ছিল না যে তা কিন্তু নয়, আমার ও ইচ্ছে ছিল। আমাদের সময় তো ওই রকম ডাক্তার ছিল না। কবিরাজ যারা মানে হিন্দু ভদ্রলোক ধুতি পরে একটা ব্যাগ নিয়ে ডাক্তারি করতেন।
দিনাজপুরে আমি দেখেছি বিরেন চক্রবর্তী নামে একজন ডাক্তার ছিলেন। সমর চক্রবর্তী, আমার বন্ধুর বড় ভাই। ওনাদেরকে দেখে আমার কিন্তু কিছুটা হলেও ডাক্তারি পড়ার একটা মনের ইচ্ছে জেগেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বাবা এবং মা তাদের দুজনেরই প্রবল ইচ্ছাতে আমি ডাক্তারিতে ভর্তি হই।
ডক্টর টিভি: এমবিবিএস পাস করার পর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ক্যারিয়ার গড়ার প্রেরণা কোথায় পেলেন? সেই গল্পটা জানতে চাই
ডা. সামন্ত লাল সেন: স্বাধীনতার পরবর্তীতে আমি যখন ইন্টার্নি শেষ করলাম। তখন আমি গ্রামে গেলাম। তখন আমার পোস্টিং ছিলো বানিয়াচং উপজেলায়, সিলেটে (বর্তমান হবিগঞ্জ জেলা)। ওখানে আমি এক বছর মেডিকেল অফিসার হিসেবে ছিলাম। এরপর আমি ঢাকায় আসি। তখন আমাদের স্যুপি ডিউটি বলা হতো। ওই স্যুপি ডিউটি করতে আমি আসলাম শহীদ সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে।
সোহরাওয়ার্দী হসপিটালটা ছিলো-আমি যেটা বলবো। এটা সবার জানা দরকার। যে ওইটা আগে ছিল পাকিস্তান আমলে আইয়ুব সেন্ট্রাল হসপিটাল, তো আমাদের বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরে এটাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল নাম দেন। ওইখানে ডক্টর গ্রাস্ট বলে একজন অর্থোপেডিক্স সার্জন ওনার কাজ শুরু করেন। ওনি এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে। পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করার জন্য।
ডা. গ্রাস্ট ছিলেন আমেরিকান ভদ্রলোক। তিনি ভারতের লুদিয়ারা থেকে এসেছিলেন। আমি যখন সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে জয়েন করি, তখন উনি আমাকে বললেন, 'উইয়ি জয়েন ইন দ্যা প্লাস্টিক সার্জারি।'
আমার তো তখন ইয়াং বয়স। আমি তখন ইন্টার্নি শেষ করে গ্রামে এক বছর কাজ করে ঢাকায় আসছি। আমি মনে করলাম যে প্লাস্টিক সার্জারিতে কাজ করবো, এটা তো একটা মানে খুব এক্সাইটেড জিনিস।
তখন জানতাম প্লাসটিক সার্জারি'তে মানুষের চেহারা সুন্দর করা হয়। কিন্তু আমেরিকাতে মানে অনেক প্লাস্টিক সার্জন, অনেক বড় বড় লোক, অনেক টাকা পয়সা মানে এরকম একটা স্বপ্নের মধ্যে আমি খুব এক্সাইটেড হয়ে আমি বললাম, ‘ইয়েস। আই ওয়ান্ট টু ওয়ার্ক ইন প্লাস্টিক সার্জারি’।
এভাবেই প্লাস্টিক সার্জারিতে আমি আমার কাজ শুরু করলাম। ওইখানে একজন ভদ্রলোক ছিলেন৷ ওনিও বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে আসছিলেন ইন্ডিয়া থেকে। ডা. পারদেছ ভ্লেদলিন। প্লাস্টিক সার্জন। উনার সাথে আমি আমার প্লাস্টিক সার্জারির কাজ শুরু করলাম।
ডক্টর টিভি: আমরা সবাই দেখেছি- শেখ হাসিনা ন্যাশন্যাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি সত্যিই একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। এই স্বপ্নটি কিভাবে পূরণ হলো। এর প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু বলুন।
ডা. সামন্ত লাল সেন: পরবর্তীতে আমি আশির দশকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে বদলি হয়ে আসলাম৷ ঢাকা মেডিকেল কলেজে বদলি হয়ে আসার পরে, তখন আমাদের প্লাস্টিক সার্জারির প্রথম বাংলাদেশের প্লাস্টিক সার্জারিয়ান ছিলেন প্রফেসর মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ (স্যার মারা গেছেন)। উনার আন্ডারে আমি কাজ শুরু করেছিলাম এসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার হিসেবে৷
তখন আমরা রিয়েলাইজ করলাম, আমাদের সার্জারির একজন প্রফেসর ছিলেন, কবির উদ্দিন আহমেদ স্যার। উনিও মারা গেছেন। আমরা দেখলাম যে- বার্ন প্লাস্টিক সার্জারির একটা অংশ এবং প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমেই বার্নের চিকিৎসা করে।
আমরা তখন দেখলাম যে- বার্ন রোগীরা ভীষণ নেগলেটেড৷ কেউ বারান্দায় পড়ে থাকে, কেউ বাথরুমের পাশে পড়ে থাকে। মানে মশারি টাঙিয়ে, কেউ ঠিকমতো দেখেও না। এইগুলো দেখার পরে আমাকে কবির উদ্দিন সাহেব এবং শহিদুল্লাহ সাহেব বললেন, ‘চলেন আমরা কিছু একটা করি।’
আমাদের এই বার্ন, প্লাস্টিক সার্জারির জন্য কিছু একটা করা দরকার। আমারও যে স্বপ্ন ছিল, যে আমি বড় প্লাস্টিক সার্জন হব। মানুষের চেহারা সুন্দর করবো। এই বার্ন রোগীর কষ্ট দেখে আমার এই স্বপ্ন কিন্তু চলেই গিয়েছিল। আমি কল্পনাই করিনি যে আমি একজন বড় কসমেটিক সার্জন হবো কিংবা স্টাটিক সার্জন হব। আমি মনে করেছিলাম, যে বার্ন কিংবা অন্যান্য রিকনস্ট্রাকটিক সার্জারি নিয়ে আমাকে কাজ করতে হবে।
তখন প্রথম ১৯৮৬ সালে আমরা শহিদুল্লাহ সাহেবের মারফতে একটা প্রস্তাব আমরা সরকারের কাছে দাখিল করি। তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) একবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভিজিট করতে আসছিলেন। এসে দেখলেন যে, বার্ন রোগীদের এই দুরবস্থা।
যখন প্রথম তিনি সরকারে আসেন। তখন তিনি আমাকে ইমার্জেন্সি ইউনিটের দিকে দাঁড়িয়ে বলছিলেন যে- এখানে একটা বার্ন ইউনিট করা দরকার। পাশে তখন একটা বস্তি ছিল, ওই বস্তিটা দেখিয়ে তিনি বললেন, এখানে বার্ন ইউনিটটা করা যায়। বস্তিটাগুলোকে সরানো একটা বিরাট যুদ্ধের মতো আর কি।
মানে আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, আজকে যে ৫শ' বেডের বিশাল একটা অট্টালিকা। এটা কিন্তু সহজে আসেনি। অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে, অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, অনেক সেক্রিফাইস করতে হয়েছে।
এখানে অনেকের অবদান রয়েছে। আমার প্রফেশনাল কলিগ যারা আছেন তাদের অবদান এবং তখন আমাদের মন্ত্রী ছিলেন, সালাউদ্দিন ইউসুফ সাহেব, মারা গেছেন, উনার অবদান। তারপরে শেখ সেলিম সাহেব (তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী) এবং সবাই।
ওই বস্তিটাকে সরানো সম্ভব ছিল না৷ একটা বস্তি ঢাকা শহরে সরানো, বহু কষ্টে এটা সরানোর পরে আমরা ওইখানে ৫০ শয্যার একটি বার্ন ইউনিট, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৈরি করলেন। পরবর্তীতে এটা ১শ' থেকে ৩শ' হয়। এই কিন্তু বার্ন প্লাস্টিক সার্জারির একটা আলাদা ভবনে কাজ শুরু করলো।
পরবর্তীতে যখন দেখা গেলো নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকবার আসলেন আমাদের বার্ন ইউনিটে এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক সহিংসতার সময়।
বার্ন রোগীদের এতো চাপ দেখে তিনি বললেন, যে আমাদের তো, সারা দেশেই বার্ন ইউনিট করা দরকার। আমি বললাম, হ্যাঁ, এটা করা দরকার এবং এটা করতে হবে।
তখন আমি ওনাকে বললাম, আমাদের এই সারা দেশে যদি বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট করতে হয় তাহলে আমাদের জনবল দরকার। জনবল করতে হলে আমাদের আলাদা একটা ইনস্টিটিউট বানাতে হবে। কারণ এইরকম যেমন কার্ডিওবার্থক্লামিং ইনস্টিটিউট। অর্থোপেডিক্সের ইনিস্টিউট, কিডনি ইনস্টিউট সব ইনস্টিউট আছে এখন। এরকম বার্নেরও আলাদা একটা ইনস্টিটিউট দরকার।
তখন উনি বললেন যে, হ্যাঁ, এটা করবো আমি। জায়গা দেখো। জায়গা দেখা নিয়ে অনেক ঘোরাঘুরি। অনেক জায়গা দেখি। আমরা পরে দেখলাম চানখারপুলে পুরাতন টিভি ইনস্টিটিউট। যেটার এখন কাজ হয় না। সেটাকে আমরা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউট বানাতে পারি।
এটা আমি বলবো যে, বর্তমানের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, উনি ফ্লাইংলি আমাদের সাপোর্ট করছেন এবং উদ্যোগ নিয়েছেন বলে সেটা পাঁচ থেকে ৫শ' বেডে হয়েছে।
আমি সবসময়ই বলি, যে বাবার হাতে পাঁচ আর মেয়ের হাতে ৫শ'। বঙ্গবন্ধুর হাতে পাঁচ বেড দিয়ে শুরু করেছিলাম। সেটা বর্তমানে ৫শ' বেডের যেটা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই কাজটা করছে কন্সট্রাকশনের। যার জন্য আজকে এতো বড় একটা বিশ্বমানের হাসপাতাল। এই অত্যন্ত শর্টকাটভাবে আমি বললাম যে- এই শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউট, কিভাবে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে।
ডক্টর টিভি: আপনার একটি স্বপ্ন তো পূরণ হয়েছে। কিন্তু আপনার আসলে আরও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিকে নিয়ে।
ডা. সামন্ত লাল সেন: স্বপ্ন তো ডেফিনিয়েটলি। আমরা যখন শুরু করি, সেই মুক্তিযুদ্ধের পরে সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে। মাত্র দুইজন-তিনজন ছিলাম। আজকে এতো প্লাস্টিক সার্জন যখন আমি দেখি আমার খুব ভালো লাগে। আমি যখন দেখি যে আমার ইনিস্টিউটে কিংবা অন্যান্য বার্ন ইউনিটে ইয়াং ছেলে-মেয়েরা কাজ করছে। এটা আমার জন্য খুবই আত্মতৃপ্তির। আমি বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশের জেনারেশনে এদেশের মেডিকেল সাইন্স অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। তার অনেক প্রমাণ আছে৷ সুতরাং এখন ইয়াং ডাক্তাররা যেভাবে কাজ করছে তারা সেটা করবে।
ডক্টর টিভি: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ডা. সামন্ত লাল সেন: ডক্টর টিভি পরিবারকেও ধন্যবাদ। সকল দর্শক, পাঠক ও শ্রোতাদেরও ধন্যবাদ।
[অনুলিখন: রহমত উল্লাহ নীরব]
আরও দেখুন:
- প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
- ডা.-সামন্ত-লাল-সেন
- শেখ-হাসিনা-জাতীয়-বার্ন-অ্যান্ড-প্লাস্টিক-সার্জারি-ইনস্টিটিউট