বর্তমানে বিশ্বে ১০টির মতো সংস্থা করোনার টিকা নিয়ে কাজ করেছে।  এরমধ্যে চার থেকে পাঁচটি কোম্পানি তাদের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষ করেছে।  সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, আমরা এদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। চিঠি চালাচালিও হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা আমাদের স্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে এখানে টিকা উৎপাদন করবে আমরা তাদের সঙ্গে চুক্তিতে যাব। এতে আমাদের টিকা পেতে সহজ হবে। এটিকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’

রাশিয়ার উদ্ভাবিত করোনার টিকা আগামী নভেম্বরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ পেতে পারে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বে যে কয়েকটি দেশ করোনার টিকা উদ্ভাবন করে তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষ করেছে তাদের মধ্যে রাশিয়ার টিকা এগিয়ে রয়েছে। আগামী নভেম্বরের শেষ দিকে এ টিকা বাজারজাত হতে পারে। অগ্রাধিকারভিত্তিতে আমরা এ টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছি।’

এ সময় তিনি আসন্ন শীতে করোনা পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন শীতে এমনিতেই আমাদের সামাজিক অনুষ্ঠান বেশি হয়। যেমন বিবাহ, পিকনিক, ভ্রমণ- এগুলো শীতকালেই বেশি হয়। এতে মানুষের মাঝে যোগাযোগ বেশি হয়।  তা ছাড়া শীতকালে ঠাণ্ডাজনিত রোগব্যাধিও হয়। এসব দিক মাথায় রেখে আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীও আমাদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।  আশা করছি, আমরা শীতকালেও করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।’

স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি  ‘আমাদের সময়ে কেউ দুর্নীতি করে রেহাই পায়নি। তা ছাড়া ড্রাইভার মালেকরা একদিনে তৈরি হয়নি। মালেক ও আফজালদের মতো আরো যদি দুর্নীতিবাজ থাকে, আমরা তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেব। তাদের সবার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।’