বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা দেয়ার সাজা পেলেন ওসমানী মেডিকেলের ছাত্র-শিক্ষকসহ ৪০ জন
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়ায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসক-শিক্ষার্থীসহ ৪০ জনকে নানামুখী সাজা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৩ জন শিক্ষক, বিভিন্ন ব্যাচের ৮ জন চিকিৎসক ও ১৯ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী রয়েছেন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অধ্যক্ষ ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তীর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
এছাড়াও প্রজ্ঞাপনে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। সেইসাথে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরও প্রতিষ্ঠানের ভেতরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিলেট ওসমানী মেডিকেলের কলেজ ক্যাম্পাস ও হলগুলোয় ছাত্র-ছাত্রীদের সব ধরনের রাজনৈতিক দলের (ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, ছাত্রী সংস্থা, ঐতিহ্য, অঙ্গীকার, সুহৃদ ও যেকোনও রাজনৈতিক দল) কার্যক্রম, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক লবিং ও ক্লাবগুলোয় রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
‘ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ সম্পর্কিত ১৯৯৪ সালের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ২০২৪ সালে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত ২৯ আগস্টের কাউন্সিলে গঠিত তদন্ত কমিটি ৩১ আগস্টের সুপারিশ করে। ওই সুপারিশ অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ছাড়া একই প্রজ্ঞাপনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে ৬ জন শিক্ষককে সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়। পাশাপাশি তাদের বদলির পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
একই অভিযোগে আরও তিন জন শিক্ষক এবং আন্দোলন চলাকালে মধ্যরাতে মেয়েদের হল থেকে বের করে দেওয়ায় আরও দুজন শিক্ষককে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে আন্দোলনের সময় হুমকি ও হামলায় জড়িত থাকায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ব্যাচের ৮ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। একই অপরাধে ১৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে ১৯ শিক্ষার্থীকে।