শীতকালে পানি কম খেলে কী হতে পারে ?
শীতকালে পানি পান
শীতকালে আমাদের পানির পিপাসা কমে যায় । কারন, চারদিকে শীতের আমেজ । শীতল আবহাওয়ায় শরীরের ত্বক কম ঘামে । শীতের রাতে ‘টয়লেটে যেতে’ আলস্য লাগে। তাইতো ‘ঝামেলা এড়াতে’ কম পানি খাওয়া হয় ।
এই ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেই পানি খেতে ইচ্ছা করে না। আবার গরম পানিতে ‘স্বাদ’থাকে না । এসব কারণে আমাদের পানি পানের পরিমাণও কমে যায়। গরমের দিনে তেষ্টা মেটাতে যেখানে দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খাওয়া হয়, আর শীত এলে তা নেমে আসে ৫–৬ গ্লাসে।
তবে শীতকাল বলেই কম পানি পান করা চলবে না । অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করা এবং নিজেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ তাপমাত্রায়ও হাইড্রেটেড রাখতে হবে। তা না হলে দেখা দেবে শরীরে নানা জটিলতা। তাহলে, চলুন জেনে নিই।
- শীতকালে আমাদের এমনিতেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে জটিলতা দেখা দিবে শুষ্কতায়। পা, ঠোঁটের ত্বক ফেটে যাওয়া , র্যাশ ওঠা , মরা চামড়া ওঠা , ব্রণ এমনি পানিশূন্যতার থাকলে ঘা ও হতে পারে ।
- বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য পানিশূন্যতার বলেই প্রাথমিক ও সাধারণ লক্ষণ।
- পানি কম পান করলে প্রস্রাব হলুদ হযে যাওয়া , প্রস্রাবের নালিতে জ্বালাপোড়া বা ইনফেকশন এর কারন হতে পারে পানিশূন্যতার পরিণতি।
- কিডনি , লিভার , হার্ট , মস্তিষ্কসহ প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যক্রম ঠিকভাবে চালনার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন ।
শরীরে লবণের পরিমাণ ঠিক রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান অবশ্য কর্তব্য। তাই যাঁরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আছেন, যেমন কিডনি , হার্ট বা লিভারের অসুখে , তাদের জন্য পানি পান করা অপরিহার্য।