এমপক্সের টিকার অনুমোদন দিয়েছে ডব্লিউএইচও

অনলাইন ডেস্ক
2024-09-14 11:06:00
এমপক্সের টিকার অনুমোদন দিয়েছে ডব্লিউএইচও

এমপক্স ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এমপক্সের টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আফ্রিকায় এমপক্সের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হিসেবে এই টিকার প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

 

টিকা অনুমোদনের বিষয়টি শুক্রবার ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস নিশ্চিত করেছেন। এই অনুমোদনের ফলে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো টিকা কেনা ও অনুদান সমন্বয় করতে পারবে। নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর জন্য টিকা কিনতে তহবিল গঠনের পথও খুলল।


ডব্লিউএইচও প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘এমপক্সের বিরুদ্ধে টিকার অনুমোদন আফ্রিকার বর্তমান প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে এবং ভবিষ্যতে এই রোগের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

 

এমপক্স একটি ভাইরাসজনিত প্রাণিজাত (Zoonotic) রোগ। ১৯৫৮ সালে ডেনমার্কে বানরের দেহে সর্বপ্রথম এ রোগ শনাক্ত হয় বলে একে মাঙ্কিপক্স বলা হয়। ১৯৭০ সালে আফ্রিকার একটি দেশে মানবদেহে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর আফ্রিকার কয়েকটি দেশে বিক্ষিপ্তভাবে এর সংক্রমণ ঘটতে দেখা যায়।

 

এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন–ত্বকে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, মানসিক বিভ্রান্তি, চোখে প্রদাহ, এমনকি দৃষ্টি শক্তি লোপ পেতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে এটি অত্যধিক শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে (দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি যেমন- অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস, কিডনি রোগী, ক্যানসারের রোগী, এইডস-এর রোগী, নবজাতক শিশু, গর্ভবতী নারী), এমনকি মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে।

 

ডব্লিওএইচওর অনুমোদনের অধীনে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের লোকেদের জন্য এমপক্সের টিকা দুই-ডোজের নিয়ম হিসেবে দেওয়া হবে। প্রাদুর্ভাবের পরিস্থিতিতে, এটি শিশু, শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদেরও দেওয়া যেতে পারে। 


আরও দেখুন: