পশ্চিমবঙ্গে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
ভারতের কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকেরা
ভারতের কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি পুরো দেশই উত্তাল হয়ে উঠেছে। বুধবার (১৪ আগষ্ট) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালের আউটডোর ও বেসরকারি হাসপাতালে ওপিডি বন্ধের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল। ফলে সব সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। ঘোষণা অনুযায়ী, জরুরি পরিষেবা বাদ দিয়ে কোনো ধরনের পরিষেবা দেবেন না চিকিৎসকরা।
ইতোমধ্যেই হাইকোর্টের রায়ে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে তদন্তের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইর হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
তিনি বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রকৃত ঘটনা সামনে আনবে। এর পাশাপাশি স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাতে রাজ্যজুড়ে বিজেপি, কংগ্রেস ও বামপন্থীদের সংগঠনের নারী কর্মীরা রাস্তায় নামবেন। কোনো ধরনের দলীয় পতাকা ছাড়াই তারা রাস্তায় নামবেন বলে জানা গেছে।
এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আপাতত কোনো পাল্টা কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, মনে রাখবেন অসংখ্য মা, বোন বিভিন্ন পেশায় রাতভর কাজ করেন। অনেকে ভোররাত, মাঝরাতে কত দূর থেকে যাতায়াত করেন। বিচ্ছিন্ন খারাপ ঘটনা দিয়ে সার্বিকভাবে পশ্চিমবঙ্গকে যারা ছোট করেছে তারা অরাজনীতির মোড়কে রাজনীতি করছে। ভোটে হারা অতৃপ্ত আত্মাগুলোর আবেগের অভিনয় চলছে। এদের মুখোশ নয়, মুখ দেখে বিচার করুন।
একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সিপিএমের ৩৪ বছরের জামানা এবং বিজেপিশাসিত অন্য রাজ্যগুলোতে যা ঘটছে তা উল্লেখ করেছেন।