ইসরায়েলি হামলায় বন্ধ হওয়ার পথে রাফার হাসপাতালগুলো
রাফার ইন্দোনেশিয়ান ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের কয়েকজন
দক্ষিণ গাজার হাসপাতালগুলোতে মাত্র ৩ দিন চলার মতো জ্বালানি রয়েছে। জ্বালানি ছাড়া সব ধরনের মানবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে ও সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। সূত্র: আল জাজিরা
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৭ মে) দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে সেনা ও ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছে ইসরায়েল। এই শহরে অবস্থিত ক্রসিংটি অবরুদ্ধ গাজা উপ্যতকায় বিদেশি সহায়তা পৌঁছানোর মূল পথ। এখন এই পথ দিয়ে গাজায় জ্বালানি ঢুকতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
তেদ্রোস আধানম বলেছেন, আমরা আশা করেছিলাম যে বুধবার (৮ মে) ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেবে। কিন্তু তারা তা করেনি। সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা ও জ্বালানি প্রবেশে বাধা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
‘জ্বালানি ছাড়া সব মানবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া গাজার দক্ষিণের হাসপাতালগুলোতে মাত্র তিন দিনের জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ এসব হাসপাতালের কার্যক্রম শিগগিরই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
হাজার হাজার হামাস যোদ্ধাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে- এমন সন্দেহে গাজার রাফা শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু গাজার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১৪ লাখ অসহায় ফিলিস্তিনি শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছেন। বাস্তুচ্যুত এসব মানুষকেও রাফা থেকে অন্যত্র সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, এরই মধ্যে রাফা’র প্রধান প্রসূতি হাসপাতাল আল-হেলাল আল-ইমাইরাতি রোগীদের ভর্তি নেওয়া করা বন্ধ করে দিয়েছে। বলতে গেলে গাজাবাসীর প্রায় সবাই এখন রাফায় অবস্থান করছেন ও তারা খাবার, পানি ও ওষুধের সংকটে ভুগছে।