কোরিয়ার আন্দোলনরত চিকিৎসকদের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার হুমকি
কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের সব কাজকর্ম ছেড়ে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার চিকিৎসকরা
আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজে না ফিরলে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। খবর: আল জাজিরা
সম্প্রতি দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে মেডিকেল স্কুলগুলোতে ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। তারপর থেকেই এর বিরোধীতা করে আন্দোলন শুরু করেন চিকিৎসকরা। এমনকি ৯ হাজার ইনটার্ন চিকিৎসকও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের সব কাজকর্ম ছেড়ে তারা লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছে।
গত সপ্তাহ থেকেই হাসপাতালে জটিল অপারেশন রেখে আন্দোলনে সামিল হয় চিকিৎসকরা। দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রী লে সাং মিন বলেন, চিকিৎসকদের লাগাতার আন্দোলনে হাসপাতালগুলোতে জটিল অপারেশন পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার তাদের কাছে শেষ বারের মতো আবেদন জানিয়েছে। যদি তারা আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কর্মে না ফিরে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তারা যদি বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দেয় তাহলে গত এক সপ্তাহে চিকিৎসা সেবায় যে ব্যাঘাত ঘটেছে তার জন্য তাদের দায়ী করা হবে না।
দেশটির সরকার বলছে, জনসংখ্যার তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়ার চিকিৎসকদের সংখ্যা কম। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আন্দোলনরত তরুণ চিকিৎসকরা বলছেন, ডাক্তারের সংখ্যা বাড়ানোর আগে সরকারের উচিত ডাক্তারদের বেতন বাড়ানো এবং কর্মস্থলকে আরও উন্নত করা উচিত।
দক্ষিণ কোরিয়ার উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্ক মিন সো বলেন, আন্দোলনরত চিকিৎসকরা যদি ফেব্রুয়ারির শেষে কর্মস্থলে যোগ না দেয় তাহলে আগামী তিন মাসের জন্য তাদের মেডিকেল লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এছাড়া তাদেরকে আরও অধিক হয়রানির শিকার হতে হবে।