হাসপাতাল চালু রাখতে জ্বালানি চেয়েছে হামাস
ইসরায়েলি হামলায় আহতদের নিয়ে গাজার হাসপাতালে স্বজনদের ভিড়
গাজা উপত্যকার বন্ধ হতে থাকা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো সচল রাখতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জরুরিভিত্তিতে জ্বালানি তেল চেয়েছে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
সোমবার এক বিবৃতিতে হামাসের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগ্রাসনকারীদের বোমা হামলায় প্রতিদিন শত শত মানুষ হতাহত হচ্ছেন গাজা উপত্যকায়। দখলদাররা উপত্যকায় জ্বালানি তেল প্রবেশ করতে না দেওয়ায় হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ নেই। আহত ও গুরুতর অসুস্থ রোগীরা সেখানে চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছেন।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের অনুরোধ- অন্তত হাসপাতালগুলো চালু রাখতে জন্য জরুরিভিত্তিতে গাজায় জ্বালানি প্রবেশের ব্যবস্থা করুন।
গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। টানা ৩৭ দিন ধরে চলা নির্বিচার হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১১ হাজার ৭৮ জন মানুষ। আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার।
হামলার প্রথম দিনই গাজা উপত্যকার পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ইসরায়েল। পাশপাশি জ্বালানি তেল প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালানোর কয়েক দিনের মধ্যেই জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে যায় গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি। এর থেকে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালগুলোও। এমনকি উপত্যকার বড় দু’টি হাসপাতাল আল শিফা ও আল কুদস হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে।
দুই সপ্তাহ আগে উপত্যকার হাসপাতালগুলোর জন্য জ্বালানি প্রবেশ করতে দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সরবরাহ বিষয়ক সংস্থা ইউএনওচা। সে আহ্বানের জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, গাজায় জ্বালানি তেল প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সেখানে জ্বালানি তেলের গাড়ি গেলে সেই তেল চুরি করে যুদ্ধের প্রয়োজনে ব্যবহার করবে হামাস।