করোনার টিকায় অবদানের জন্য নোবেলজয়ী দুই বিজ্ঞানী
নোবেলজয়ী কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান
করোনার টিকা তৈরিতে অবদানের জন্য হাঙ্গেরি ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী যৌথভাবে এবারের চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাঁরা।
বিজয়ী হিসেবে কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যানের নাম আজ সোমবার বিকেলে ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যে প্রযুক্তির জন্য তাঁরা পুরস্কার পেলেন, সেটি মহামারির আগে পরীক্ষাধীন ছিল। ওই প্রযুক্তির তৈরি টিকা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষকে দেওয়া হয়েছে।
এখন ক্যানসারসহ অন্য রোগের চিকিৎসায় ওই এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য গবেষণা হচ্ছে।
নোবেল পুরস্কার কমিটি বলেছে, ‘আধুনিক কালে মানব স্বাস্থ্য যখন মারাত্মক হুমকির মুখে ছিল, তখন এই দুই নোবেলজয়ী টিকা তৈরির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন অবদান রেখেছেন।’
চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেলেন ক্যারিকো ও ওয়েইসম্যানচিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেলেন ক্যারিকো ও ওয়েইসম্যান
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মতো হুমকি চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধের জন্য রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে টিকা সক্ষম করে তোলে।
মূল ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ামের মৃত বা দুর্বল সংস্করণ বা সংক্রমিত এজেন্টের অংশবিশেষ ব্যবহার করে গতানুগতিক টিকাপ্রযুক্তি কাজ করে।
এমআরএনএ প্রযুক্তি এর পুরো বিপরীত প্রক্রিয়া কাজ করে। মহামারির সময় বহুল ব্যবহৃত মর্ডার্না ও ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই তৈরি হয়।
১৯৯০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটিতে একসঙ্গে কাজ করতেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান।
১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরিতে জন্ম গ্রহণ করেন কাতালিন। ২০২১ সাল থেকে তিনি সিজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। পেনসিলভানিয়ার সঙ্গেও যুক্ত আছেন।
আর ওয়েইসম্যান ১৯৫৯ সালে আমেরিকার ম্যাসাচুয়েটসে জন্ম নেন। তিনি আমেরিকার পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশন কাজ করেন।