একাকিত্বের প্রভাবে অকাল মৃত্যু বেড়েছে ২৬ শতাংশ
মানসিক সমস্যা , পঙ্গু বা আর্থিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের একাকিত্বের ঝুঁকি বেশি।
একাকিত্ব, সামাজিক নিঃসঙ্গতা ও বিচ্ছিন্নতার ফলে দেখা দিতে পারে হৃদরোগ, স্ট্রোক, বিষণ্নতা। একাকিত্বের কারণে অকাল মৃত্যুর পরিমাণ বেড়েছে ২৬ শতাংশ। এছাড়াও এটিকে দিনে ১৫টি সিগারেট খাওয়ার চেয়েও ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বিবেক মূর্তি।
একাকিত্ব নিয়ে বিবেক মূর্তির করা ৮১ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে একে ধূমপান, ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার চাইতেও অধিক হারে বিস্তার লাভ করা সমস্যা হিসেবে দেখিয়েছেন বিবেক মূর্তি। প্রতিবেদনে জানানো হয় একাকিত্বের কারণে অকাল মৃত্যুর পরিমাণ বেড়েছে ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে সামাজিকভাবে বিছিন্ন থাকায় এই ঝুঁকি বাড়ে ২৯ শতাংশ।
রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বিবেক মূর্তি জানান, “আমরা যাদের বিশ্বাস করি তাদের সান্নিধ্য আশা করি। তবে সেটা পাওয়া না গেল, আমরা বিচ্ছিন্ন হই, আশপাশের মানুষদের বিশ্বাস করতে পারি না। অথবা সেই দল থেকে আমরা বের হয়ে যাই। এটা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য হুমকি স্বরূপ।
প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউরোসায়েন্টিস্ট ম্যাথিউ লিবারম্যান জানান, বেঁচে থাকতে সামাজিক যোগাযোগ প্রয়োজন। সেটা আমাদের দেহ জানে। তবে বিষয় হল, একাকিত্বের মতো মানসিক আঘাত প্রমাণ করে যে সামাজিক যোগাযোগটা জরুরি। সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়া আর একাকিত্বের কারণে মস্তিষ্ক ‘ফাইট অর ফ্লাইট মুড’য়ে চলে যায়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বয়স, স্বাস্থ্য, জীবনধানের পদ্ধতি ও আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখলে বেশি দিন বেঁচে থাকার পরিমাণ ৫০ শতাংশ বাড়ে বলেও জানিয়েছেন ডা. বিবেক মূর্তি।
জানা জরুরি, একাকিত্ব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতার প্রভাব সবার ওপর সমানভাবে পড়ে না। যাদের ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যগত বা মানসিক সমস্যা রয়েছে, পঙ্গু বা আর্থিকভাবে দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি।