‘সেমি-চিকিৎসক’ তৈরির প্রস্তাব মমতার
যে সব প্রশিক্ষিত নার্সের চাকরির ৫-১০ বছর বাকি আছে, তাদের সেমি-চিকিৎসক করা হবে
হাসপাতাল আছে, চিকিৎসক কম। ভবিষ্যতের কথাও ভাবতে হবে। তাই ডিপ্লোমা ও সেমি-চিকিৎসক চান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। খবর ডয়েচেভেলের।
ডিপ্লোমা চিকিৎসক হলো- তিন বছরের একটি কোর্স চালু হবে। তা পাস করলে মেডিকেল ডিপ্লোমা দেওয়া হবে। তারা তখন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তারি করবেন। অন্যদিকে সেমি-চিকিৎসকের বিষয়টি অভিনব। যে সব প্রশিক্ষিত নার্সের চাকরির ৫-১০ বছর বাকি আছে, তাদের সেমি-চিকিৎসক করা হবে। তারা তখন চিকিৎসা করবেন।
মমতার যুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যদি ডিপ্লোমা কোর্স থাকতে পারে, তাহলে ডাক্তারিতে কেন থাকতে পারে না? যদিও দুটি বিভাগ আলাদা, তার কাজের ধরন আলাদা, বিষয় আলাদা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, ডিপ্লোমা ডাক্তারদের দিয়ে কাজ হবে।
আর সেমি-চিকিৎসকের বিষয়ে তার মত হলো, চিকিৎসকরা তো কেবল প্রেসক্রিপশন লিখেন, বাকি সবটাই তো নার্সরা করেন। তাই অভিজ্ঞ নার্সদের সেমি-চিকিৎসক করা হবে।
রাজ্যে নার্সদেরও অভাব রয়েছে। মমতার প্রস্তাব, এজন্য ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে নার্স নিয়োগ করা যেতেই পারে। সিনিয়ার নার্সরা প্রশিক্ষণ দেবেন। স্যালাইন ও ইঞ্জেকশন দেওয়া খুব ভালো করে শিখে নিলেই হলো।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, তিনি যেন একটা কমিটি করেন। সেখানে সিনিয়র, জুনিয়র চিকিৎসক ও নার্সদের রাখেন। তারা এ প্রস্তাব বিবেচনা করবেন।
তবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ও সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ডিপ্লোমা-ডাক্তার নিয়োগের তারা ঘোর বিরোধী। এটা অবৈজ্ঞানিক ও জনস্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
অন্যদিকে বিজেপি জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যা বলছেন তাতে গরিব মানুষের জীবন আরও বিপন্ন হবে। এমনিতেই সরকারি হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসা পায় না। এ ব্যবস্থা চালু করলে আরও পাবে না।