গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন

অনলাইন ডেস্ক
2023-05-05 19:04:08
গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন

মায়ের গর্ভেই অনাগত শিশুর মস্তিষ্কের জটিল অস্ত্রোপচার করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের এক হাসপাতালের চিকিৎসকরা

এবার মায়ের গর্ভেই অনাগত শিশুর মস্তিষ্কের জটিল অস্ত্রোপচার করলেন চিকিৎসকরা। আশা জাগানিয়া ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের এক হাসপাতালের। এ ধরনের অস্ত্রোপচারের ঘটনা এটিই বিশ্বে প্রথম। 

সূত্র: ডেইলি মেইল, ফক্স নিউজ, টেলিগ্রাফ, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, সিএনএন, সিবিএস নিউজ। 

খবরে বলা হয়েছে, মায়ের গর্ভে স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠছিল শিশুকন্যা ডেনভার। কিন্তু  আলট্রাসাউন্ড করার সময় চিকিৎসকেরা জানতে পারেন যে তার মস্তিষ্কের রক্তনালীতে সমস্যা রয়েছে। অনেক শিশুই গর্ভস্থ থাকার সময় এই রোগে আক্রান্ত হয়। জন্মের পর তাদের অনেকেই আর বাঁচে না। পরবর্তীতে ডেনভারের হার্টের সমস্যাও দেখতে পান চিকিৎসকেরা। সঙ্গে রক্তনালীর সমস্যা আরও বাড়ছিলো। মস্তিষ্কের এই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়  বলে ‘ভেনাস অব গ্যালেন ম্যালফরমেশন’। মস্তিষ্ক থেকে যেসব রক্তনালী হৃৎপিণ্ডে রক্ত পৌঁছে দেয়, সেগুলো সঠিকভাবে গঠিত না হলে এই সমস্যা তৈরি হয়। এর ফলে রক্তনালী এবং হৃৎপিণ্ডে চাপ পড়ে, যা একাধিক শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

গর্ভে থাকার সময় ৩৪ সপ্তাহে ডেনভারের মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। ইউটেরাসে থাকা অবস্থায় আল্ট্রাসাউন্ডের সাহায্য নিয়ে রক্তনালীর অস্ত্রোপচার করা হয়। এখন সে সুস্থ।

জানা গেছে, সফল অস্ত্রোপচারের দুই দিন পর ওই নারীর সন্তান প্রসব করান চিকিৎসকরা। জন্মের সময় ওই শিশুর ওজন ছিল ৪.২ পাউন্ড বা এক কেজি ৯০০ গ্রাম, যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ কম। তবে তার স্নায়ুগত সমস্যাগুলো খুবই সীমিত ছিল। জন্মের তিন সপ্তাহ পরে, শিশুটির কোনও কার্ডিওভাসকুলার সহায়তার প্রয়োজন হয়নি। এমআরআই স্ক্যানেও মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক রক্ত প্রবাহের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ডা. অরবাক বলেন, আমরা এটা দেখে রোমাঞ্চিত হয়েছি যে, (এই সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে) সাধারণত জন্মের পর খুব দ্রুত অবস্থার অবনতি হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটি দেখা যায়নি।

বর্তমানে ওই সুস্থ রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শিশুর ছয় সপ্তাহ বয়সে আমরা এটা জানাতে পেরে আনন্দিত যে, শিশুটি লক্ষণীয়ভাবে শারীরিক উন্নতি করছে, কোনও ওষুধ ছাড়াই, স্বাভাবিকভাবে খাচ্ছে এবং ওজন বাড়ছে। তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার মস্তিষ্কে কোনও নেতিবাচক প্রভাবের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। 


আরও দেখুন: