জনসনের পাউডার থেকে ক্যান্সার, টাকা দিয়ে মামলা নিষ্পত্তির চেষ্টা
মামলাগুলো নিষ্পিত্তি করতে ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে জনসন
জনসন অ্যান্ড জনসনের পাউডার ব্যবহারে ক্যান্সার হচ্ছে- এমন অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডকে বাজার থেকে অনেকটা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে মামলা চলছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। এবার বড় অংকের অর্থ দিয়ে পুরো ব্যাপারটা নিষ্পত্তি করতে চাইছে জনসন। বুধবার (৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
এএফপি’র প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির পাউডার নিয়ে কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক চলছে। এর পাউডারে অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। অ্যাসবেস্টস শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর সংস্পর্শে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
এবার এ সংক্রান্ত মামলাগুলো নিষ্পিত্তি করতে ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৯৩ হাজার ৭৫৪ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি-ভিত্তিক এই সংস্থাটির দাবি, দেউলিয়া আদালত যদি তাদের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় তাহলে এর মাধ্যমে ‘প্রসাধনী ট্যালক মামলা থেকে উদ্ভূত সকল দাবি ন্যায়সঙ্গতভাবে এবং দক্ষতার সাথে সমাধান হবে’।
অবশ্য যদি শেষ পর্যন্ত জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির এই দাবি অনুমোদন পায়, তাহলে তা হবে মার্কিন ইতিহাসে কোনও পণ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম বৃহৎ অংকের সমঝোতা।
এএফপি বলছে, ওভারিয়ান ক্যান্সারের জন্য দায়ী অ্যাসবেস্টসের চিহ্ন ধারণকারী ট্যালকম পাউডার নিয়ে জনসন অ্যান্ড জনসন হাজার হাজার মামলার সম্মুখীন হয়েছে। মার্কিন এই কোম্পানিটি অবশ্য কখনোই ভুল স্বীকার করেনি। তবে ২০২০ সালের মে মাসে তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় তাদের ট্যালক-ভিত্তিক বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেয়।