এক বছরের শিশুর মস্তিষ্কে বিরল ‘যমজ ভ্রূণ’
যমজ ভ্রূণের কোষ দিয়ে পরিবেষ্টিত থাকায় আড়ালে চলে যাওয়া ভ্রূণটি বাড়তে পারে না। তবে রক্ত সরবরাহ থাকায় এ ভ্রূণ ‘জীবন্ত’ থাকে
চীনের সাংহাইয়ে এক বছর বয়সী এক শিশুর মস্তিষ্কে তারই যমজের ভ্রূণ পাওয়া গেছে। নিউরোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
এনডিটিভি বলছে, এ ধরনের অবস্থা ‘ফেটাস ইন ফেটু’ নামে পরিচিত। এটি বিরল ঘটনা। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মায়ের গর্ভে যমজরা সংযুক্ত হয়ে যায় এবং একজন হিসেবে বেড়ে ওঠে।
নিউরোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটির মধ্যে মানসিক বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় এবং তার বড় মাথার কারণে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তখন ওই শিশুর মস্তিষ্কে জীবন্ত ভ্রূণ শনাক্ত করেন। পরে জিনোম পরীক্ষা করে দেখা যায়, ভ্রূণটি ওই শিশুর যমজ।
আইএফএল সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটে । স্ত্রী ডিম্বাণু ও পুরুষ শুক্রাণু নিষিক্ত হওয়ার পর যে কোষগুলো গড়ে ওঠে, সেগুলো যদি যথাযথভাবে বিভক্ত না হতে পারে, তখনই এমন অবস্থা তৈরি হয়।
এ সময় একটি ভ্রূণ আরেকটি ভ্রূণের আড়ালে চলে যায়। যমজ ভ্রূণের কোষ দিয়ে পরিবেষ্টিত থাকায় আড়ালে চলে যাওয়া ভ্রূণটি বাড়তে পারে না। তবে রক্ত সরবরাহ থাকায় এ ভ্রূণ ‘জীবন্ত’ থাকে। এ অবস্থাকে ‘পরজীবী যমজ’ নামেও ডাকা হয়ে থাকে।
এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেনি। মিসরে ১৯৯৭ সালে এক কিশোরের পেটে একটি ভ্রূণ শনাক্ত হয়। তখন জানা যায়, ১৬ বছর ধরে ভ্রূণটি ওই কিশোরের পেটে ছিল।
শুধু তা–ই নয়, গত বছরের নভেম্বরে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে ২১ দিন বয়সী এক নবজাতকের পাকস্থলী থেকে আটটি ভ্রূণ সরানো হয়েছিল।