ভারতে ব্যাপক পরিসরে ছড়ানো ফ্লু নিয়ে আতঙ্ক
উপসর্গের মধ্যে রয়েছে ক্রমাগত কাশি, সঙ্গে জ্বর। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এবং শরীরে উপসর্গ থেকে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন
ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে গত দুই মাস ধরে অনেক মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তরা দীর্ঘসময় ধরে অসুস্থ থাকছেন। কাশি ভালো হতেও অনেক সময় লেগে যাচ্ছে।
প্রায় দুই বছর ধরে কভিড-১৯ মহামারীর সঙ্গে লড়াই করা দেশটির সাধারণ মানুষদের মনে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়া এই ইনফ্লুয়েঞ্জা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। খবর এনডিটিভির।
এ রোগের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে ক্রমাগত কাশি, সঙ্গে জ্বর। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা এবং শরীরে এসব উপসর্গ থেকে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) এজন্য এইচ৩এন২ ভাইরাসের একটি উপধরণকে দায়ী করেছে। অনেক মানুষকে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হতে হয়েছে।
গত দুই বা তিন মাসে এ ভাইরাসটি ভারতজুড়ে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় একটি হাসপাতালের চিকিৎসক অনুরাগ মেহোত্রা বলেন, আক্রান্তদের সুস্থ হতে সময় লাগছে। রোগীদের দেহে কঠোর উপসর্গ দেখা দেয় এবং দীর্ঘদিন ধরে রোগের উপসর্গ থাকে। এমনকি রোগী সুস্থ হয়ে উঠার পরও অনেকদিন পর্যন্ত রোগের উপসর্গ তার শরীরে থেকে যায়।
ইনফ্লুয়েঞ্জার অন্যান্য উপধরনের চাইতে এইচ৩এন২ ধরনের কারণে হাসপাতালের ভর্তির সংখ্যাও বেশি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জার নতুন এই ধরনটি প্রাণসংহারী নয় বলে জানিয়েছেন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বিশেষজ্ঞ ডা. অনিতা রমেশ।
তিনি বলেন, প্রাণঘাতী না হলেও ফুসফুসের তীব্র সমস্যা নিয়ে আমার কয়েকজন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। তাদের দেহে যেসব উপসর্গ দেখা গিয়েছিল, সেগুলোর কয়েকটি কভিডের সঙ্গে মিলে যায়। যদিও তাদের সবাই কভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছিলেন।
কেউ কেউ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে দ্রুত সুস্থ হতে ইচ্ছামত অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) থেকে সর্দি-জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত হলেই অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এমনকি সংস্থাটি থেকে চিকিৎসকদেরও ব্যবস্থাপত্রে রোগীদের যথেচ্ছা অ্যান্টিবায়োটিক না দিয়ে বরং উপসর্গ দেখে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।