ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পৃথক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।

শনিবার (২৫ ফেব্রারুয়ারি) তে কলকাতার বিধান চন্দ্র রায় (বিসি রায়) শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নয় মাস বয়সী শিশু। অন্যদিকে, রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কলকাতা মেডিকেল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ভর্তি দেড় বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় অ্যাডিনোভাইরাসের।

কল্যাণীর মাঝের চরের বাসিন্দা ওই শিশুকে কল্যাণী মেডিকেল কলেজ থেকে দিন চারেক আগে কলকাতা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, আইসিইউ না থাকায় বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ঘুরতে হয় তাদের।

অন্যদিকে হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা স্বপন রায় এবং লক্ষ্মী রায়ের শিশুকন্যাকে ২ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় জ্বর ছিল। তবে ১১ ফেব্রুয়ারি সুস্থ হলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাড়ি ফেরার পর আবারও শিশুটির জ্বর আসে। এবার তার জ্বর কিছুতেই কমছিল না। ফলে আবারও তাকে বিসি রায় হাসপাতালের বহির্বিভাগে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু জ্বর না কমায় ১৯ ফেব্রুয়ারি আবারও তাকে কলকাতার ফুলবাগানের বিধান চন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শিশুটির বাবা স্বপন রায় বলেন, শনিবার সকালে মেয়ের প্রবল জ্বর আসে। এতে তার শরীর আরও খারাপ হয়ে যায়। ওই সময়ে তার আইসিইউ দরকার ছিল। তবে হাসপাতালে তখন আইসিইউ শয্যা খালি ছিল না। আমি অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কথা বলি। কিন্তু চিকিৎসকরা আমার কোনো কথা শুনতে চাননি।

শিশুটির মা লক্ষ্মী রায় অভিযোগ করেন, চিকিৎসকরা ঠিকমতো চিকিৎসা করেননি বলেই শিশুটি মারা যায়।

এর আগে চলতি মাসে একাধিক শিশুর মৃত্যুর কারণ হিসেবে অ্যাডিনোভাইরাসকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে কলকাতায় এই ভাইরাস এখন পর্যন্ত কতজনের প্রাণ কেড়েছে, তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।