পরবর্তী মহামারী মোকাবিলায় অপ্রস্তুত বিশ্ব
২০১৯ সালে কভিড মহামারী শুরুর আগের মতোই দেশগুলোর সরকারের প্রস্তুতি
বিশ্বের দেশগুলো পরবর্তী মহামারী পরিস্থিতি মোকাবিলার মতো অবস্থায় নেই। দেশগুলো ‘ভয়াবহ রকমের অপ্রস্তুত অবস্থায়’ আছে।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) প্রকাশিত ‘বিশ্ব দুর্যোগ প্রতিবেদন-২০২২’- এ এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে কভিড মহামারী শুরুর আগে পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশগুলোর সরকারের প্রস্তুতি যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে। কভিড-১৯ মহামারীজনিত তিনটি ‘ভয়াবহ’ বছর পার করার পরও এ–সংক্রান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশগুলোর প্রস্তুতিতে ব্যাপক ঘাটতি আছে। বছর শেষে প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনাগুলো হালনাগাদ করতে দেশগুলোর প্রতি সংস্থাটি আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক এ নেটওয়ার্ক আরও বলেছে, পরবর্তী সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে আস্থা তৈরি, সমতা নিশ্চিত করা এবং স্থানীয় পর্যায়ে পদক্ষেপমূলক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলাটা জরুরি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কভিড-১৯–কে আন্তর্জাতিকভাবে জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সুপারিশগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। আইএফআরসি দুটি প্রতিবেদনে সুপারিশগুলো করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি শতকে বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগ ও রোগের প্রকোপের মধ্যেও পড়তে হতে পারে। কভিড-১৯ এসবের একটি মাত্র।
আইএফআরসির মহাসচিব জগন চাপাগাইন মনে করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত কভিড-১৯ মহামারীকে সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচনা করে পরবর্তী স্বাস্থ্য সংকটের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
তিনি বলেন, পরবর্তী মহামারী যেকোনো সময়ই আসতে পারে। আমরা যদি কভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিজনিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জোরেশোরে প্রস্তুতি না–ই নিতে পারি, তাহলে আর কীভাবেই বা পারব?
মহামারী মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো যেন কম দামে পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে আইএফআরসি। একই সঙ্গে এগুলো সংরক্ষণের পদ্ধতি সহজ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।