মুখের ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-01-12 18:28:51
মুখের ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়

বিগত ৩০ বছরে বিশ্বে দাঁতের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০০ কোটি।

বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ মুখ ও দাঁতের নানা রোগে ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে আক্রান্তদের প্রতি ৪ জনের ৩ জনই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক। বিগত ৩০ বছরে বিশ্বে দাঁতের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০০ কোটি। এতে প্রতিয়মান হয় যে বিশ্বব্যাপী অসংখ্য মানুষ মুখ ও দাঁতের রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ২০২২ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশ্ব স্বাস্থ্যের বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী ঠোঁট ও মুখের ক্যাভিটি সংক্রমণ ও ক্যানসারে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। প্রতি লাখে ১৫ থেকে ৪৮ জন এইসব রোগে আক্রান্ত হয়; অপরদিকে মুখের ক্যানসারে মৃত্যু ঘটে প্রতি লাখে ৮ থেকে ২০ জনের।   

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. তেদ‌রোস আধানম গ্রে‌বিয়াসুস  বলেন, মুখ ও দাঁতের রোগ বৈশ্বিক স্বাস্থ্যে বহু কাল ধরেই অবহেলিত; তবে মুখের অনেক রোগই প্রতিরোধযোগ্য এবং কার্যকরীমূল্যে চিকিৎসা করা যায় যা এই রিপোর্টে বর্ণনা করা হয়েছে।

ঘেব্রিইসাস বলেন, মানুষ পৃথিবীর যেখানেই বাস করুক না কেন, উপার্জন যাই হোক না কেন, তাদের মুখ ও দাঁতের যত্নে যে জ্ঞান ও সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন তা প্রদানের দিক নির্দেশনা ও সহায়তা দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বদ্ধ পরিকর।

দাঁতের রোগগুলোর মধ্যে যে রোগগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে তা হল দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির রোগ, দাঁত পড়া ও মুখের ক্যান্সার। শুধুমাত্র দাঁতের অস্থির ক্ষয় রোগেই পৃথিবব্যাপী আড়াশ কোটি মানুষ আক্রান্ত। গুরুতর মাড়ির রোগে আক্রান্ত প্রায় ১০০ কোটি মানুষ। সেই সাথে প্রতি বছর তিন লাখ ৮০ হাজার মানুষের মুখের ক্যান্সার ধরা পড়ছে।

প্রতিবেদনটিতে মুখের স্বস্থ্য পরিসেবায় যে অসমতা রয়েছে তা জোর দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে; যেখানে সবচেয়ে দুর্বল ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী মুখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় জর্জরিত। নিম্ন আয়ের মানুষ, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিত বয়স্ক ব্যাক্তিগণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকেরা এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার প্রতিবেদন অনুযায়ী অতিরিক্ত খরচই মুখ ও দাঁতের চিকিৎসার সবচেয়ে বড় বাঁধা। তবে  সাধারণ ঝুঁকির কারণসমূহ চিহ্নিত করে তা একটি জনস্বাস্থ্যগত পদ্ধতির আওতায় এনে মানুষকে সচেতন করা গেলে পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব। যেমন সব ধরেনের তামাকজাতীয় দ্রব্য বন্ধ ও অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার হ্রাস, কম চিনিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ ও ফ্লোরাইড টুথপেস্টের সহজলভ্যতা দাঁত ও মুখ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।   


আরও দেখুন: