করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে, এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুসের বেশি ক্ষতি করে।

তবে এবার জানা গেল নতুন তথ্য। ভাইরাসটি মানবদেহের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গ মস্তিষ্কেও পৌঁছে যায় এবং দীর্ঘদিন থাকতে পারে।

করোনায় মৃত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের টিস্যুর ওপর গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (এনআইএইচ)। খবর এনডিটিভির।

সংস্থাটির গবেষকরা ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ১১ ব্যক্তির মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন স্নায়ুতে করোনার উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা চালান। ১১ জনের কেউই করোনার টিকা নেননি।

এ ছাড়া ৪৪ রোগীর রক্তের প্লাজমাতেও করোনার উপস্থিতি নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। এর মধ্যে ৩৮ জন পজিটিভ ও তিনজন নেগেটিভ শনাক্ত হন। বাকি তিনজনের প্লাজমা পাওয়া যায়নি।

এর মধ্যে ৩০ ভাগ রোগী ছিলেন নারী, যাদের গড় বয়স ৬২ দশমিক ৫ বছর। তারা প্রত্যেকে এক বা একাধিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়েছে জার্নাল ন্যাচারে। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাথমিকভাবে বাতাস চলাচলের স্থান ও ফুসফুসের টিস্যুর ক্ষতি করে।

গবেষকরা মানবদেহের ৮৪টি স্থানে সংক্রামক আরএনএ-এর উপস্থিতি পেয়েছিলেন। এ ছাড়া একজন রোগীর দেহে হাইপোথালামাস ও সেরেবেলামে এবং অপর দুজন রোগীর মেরুদণ্ডে সার্স-কোভ-২ আরএনএ এবং প্রোটিনের উপস্থিতি পেয়েছিলেন।

তবে মানবদেহের মস্তিষ্কে ভাইরাসের শক্তিশালী উপস্থিতি ছিল না। এ গবেষণার শেষে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মূলত একটি শ্বাসযন্ত্রের রোগ।