চীনে বন্ধ হচ্ছে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন

অনলাইন ডেস্ক
2022-12-27 14:44:23
চীনে বন্ধ হচ্ছে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন

এ পদক্ষেপের মাধ্যমে কাজ করতে, পড়তে কিংবা দেখা করতে ইচ্ছুকদের জন্য চীনের দ্বার উন্মুক্ত হলো

দীর্ঘদিনের ‘শূন্য কভিড’ নীতিতে বড় পরিবর্তন আনা চীন দেশটিতে প্রবেশকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন বিধিও ৮ জানুয়ারি থেকে তুলে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

তিন বছর সীমান্ত বন্ধ রাখা দেশটি এ পদক্ষেপের মাধ্যমে কার্যত কাজ করতে, পড়তে কিংবা পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে ইচ্ছুকদের জন্য চীনের দ্বার উন্মুক্ত করে দিল বলে খবর দিয়েছে বিবিসি।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটি এমন এক সময়ে এ বিধান তুলে নিচ্ছে, যখন ভাইরাস মোকাবেলায় দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ তোলায় দেশটির বিভিন্ন এলাকার সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। রোগীর চাপে দেশটির হাসপাতালগুলোর হিমশিম খাওয়া এবং বয়স্কদের মৃত্যুর খবরও আসছে।

চীনের স্বাস্থ্য কমিশন তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পর দেশটিতে সরকারি হিসাবে দৈনিক শনাক্ত-মৃত্যুর সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। বেইজিং শুক্রবার দেশটিতে নতুন ৪ হাজার আক্রান্ত এবং গত সপ্তাহের টানা চারদিন কেউ কভিডে মারা যায়নি বলে জানিয়েছিল। রবিবার তারা জানায়, তারা আর সব এলাকার দৈনিক শনাক্ত-মৃত্যু একসঙ্গে প্রকাশ করবে না।

তবে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য তথ্য কোম্পানি এয়ারফিনিটির অনুমান, চীনে এখন কভিডে প্রতিদিন ১০ লাখের বেশি আক্রান্ত ও ৫ হাজার মৃত্যু হচ্ছে।

বছর তিনেক লকডাউন, সীমানা বন্ধ রাখা এবং কভিড আক্রান্ত ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর চীন এখন ‘কভিডকে সঙ্গী করে জীবনযাপনের’ পথ বেছে নিচ্ছে। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে তারাই সর্বশেষ এ পথে এলো।

২০২০ সালের মার্চ থেকে চীনে প্রবেশ করা সবার সরকারি স্থাপনায় বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টানে থাকার বিধান চালু হয়; এক সময় তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে থাকা লাগতো, সম্প্রতি তা কমিয়ে ৫ দিনে নিয়ে আসা হয়েছে।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ৮ জানুয়ারি থেকে কভিড ‘বি শ্রেণির সংক্রামক রোগ’ হিসেবে গণ্য হবে এমন ঘোষণা দেওয়ার পর ওই বিধিনিষেধ পুরোপুরিই বাদ হয়ে গেল।

তবে এরপরও চীনে প্রবেশে পিসিআর টেস্টের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। চীনে এতদিন দৈনিক কত ফ্লাইট নামবে তার একটা সীমাও নির্ধারিত ছিল, স্বাস্থ্য কমিশনের নতুন ঘোষণায় তাও বাতিল হলো।

কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা চীনে কাজ করতে, পড়তে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চাওয়াদের ভিসা পাওয়ার সুযোগ বাড়াবে। এই তালিকায় দেশটিতে বেড়াতে যেতে চাওয়ারা পড়বে কিনা, তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি। কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন, তারা পর্যটকবাহী জাহাজ নিয়ে একটি পাইলট প্রকল্প চালিয়ে দেখবেন।


আরও দেখুন: