পালং শাকে হচ্ছে চিত্তবিভ্রম-হ্যালুসিনেশন
পালং শাক খেয়ে অসুস্থরা হ্যালুসিনেশনে আক্রান্ত। তারা এমন সব জিনিস দেখতে পাচ্ছেন, যা সেখানে নেই
পুষ্টিবিদদের মতে, পালং শাক পুষ্টিতে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এটি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখার পরামর্শ দেন তারা।
তবে পালং শাক খেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
বিষাক্ত পালং শাক খেয়ে অনেকে অসুস্থ ও হ্যালুসিনেশনের শিকার হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার সরকার জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে।
কস্টকো থেকে রিভেরা ফার্মসের কচি পালং শাক খাওয়ার পর নয়জনের চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিষাক্ত পালং শাক খেয়ে যারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাদের মধ্যে দেখা দেওয়া লক্ষণগুলোর মধ্যে প্রলাপ, হার্ট রেট অকেজো করে দেওয়া এবং অস্পষ্ট দৃষ্টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
রিভেরা ফার্মস বলছে, পালং শাক কোনো একটি আগাছার মাধ্যমে দূষিত হয়েছিল বলে তারা বিশ্বাস করেন। তবে অন্য কোনো পণ্য এতে প্রভাবিত হয়নি।
নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক করেছে, রিভেরা ফার্মস ব্র্যান্ডের পালং শাকের যেসব প্যাকেটের মেয়াদ ১৬ ডিসেম্বর শেষ হবে, সেগুলো খাওয়া নিরাপদ নয় এবং তা ফেলে দেওয়া উচিত।
এ ছাড়া পালং শাক খাওয়ার পরে যদি কেউ অস্বাভাবিকতা অনুভব করেন, তাদের অবিলম্বে হাসপাতালের সেবা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস হেলথ।
নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের পয়জনস ইনফরমেশন সেন্টারের ডা. ড্যারেন রবার্টস সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেছেন, ‘কেউ মারা যায়নি। আমরা আশা করি এটি এভাবেই থাকবে। তবে পালং শাক খেয়ে লোকেরা বেশ অসুস্থ এবং তারা হ্যালুসিনেশনে আক্রান্ত। মূলত তারা এমন সব জিনিস দেখতে পাচ্ছেন, যা আদতে সেখানে নেই।’
রিভেরা ফার্মসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দোকানগুলোর তাক থেকে বিষাক্ত পালং শাক সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
এনএসডব্লিউ হেলথ বলেছে, এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তারা সবাই সিডনি থেকে এসেছেন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তারা অন্যান্য রাজ্যের কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে।