উপপ্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে করোনার নিষেধাজ্ঞা চুরমার
রাজধানী বেইজিংয়ে করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা গেলে বাসায় অবস্থান করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে
চীনে করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন শহরে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। করোনার কঠোর বিধিনিষেধের প্রতিবাদে চীনে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সাংহাই ও গুয়াংঝৌ শহরের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। দুই শহরেই করোনার সংক্রমণ বাড়তির দিকে।
রাজধানী বেইজিংয়ে করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা গেলে বাসায় অবস্থান করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। চংকিং শহরেরও কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে একটি ভবনে আগুন লেগে ১০ জন নিহত হন। অনেকের বিশ্বাস, চলমান করোনা বিধিনিষেধের জেরে ওই ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়েছে। এরপর থেকেই বিভিন্ন শহরে করোনা বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এসব বিক্ষোভে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে।
চীনে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উপপ্রধানমন্ত্রী সান চুনলানের একটি বক্তব্যের পর বিধিনিষেধ শিথিলের এই ঘোষণা এল। তিনি বলেছিলেন, করোনার ওমিক্রন ধরন দুর্বল হয়ে পড়ায় ভাইরাসটি দমনে নতুন কর্মকাণ্ড হাতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে লকডাউন তুলে নেওয়ার পর অনেকেই বেশ খুশি। গুয়াংঝৌ শহরের সান ইয়াৎ-সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক লিজিন হং বলেন, ‘শহরটি পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে যেতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে আবার পুরোনো গুয়াংঝৌ শহর দেখতে পাব ভেবে ভালো লাগছে।’
করোনা মহামারী শুরুর পর সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখেছে চীন। বুধবার দেশটিতে সর্বোচ্চ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন। আর দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ২০০ জনের বেশি।