ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ১৬২
এখন পর্যন্ত ১৬২ জনের মৃত্যু বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বেশিরভাগ সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থী
ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে নিহত বেড়ে ১৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার (২১ নভেম্বর) পশ্চিম জাভা অঙ্গরাজ্যে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার এ ভূকম্পনে আহত হয়েছে কয়েকশ মানুষ। আঞ্চলিক গভর্নর রিদওয়ান কামিল এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিয়ানজুর অঞ্চলের ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। কেন্দ্রস্থল পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর অঞ্চলে হলেও বৃহত্তর জাকার্তা অঞ্চলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।
এর আগে সিয়ানজুর অঞ্চলের এক কর্মকর্তা হারমান সুহেরম্যান ৪৪ জনের প্রাণহানির কথা জানান। তবে নিহতদের বেশিরভাগরই ছিলেন নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে। ফলে নিহত আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
পশ্চিম জাভার গভর্নর কামিল জানান, ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি বলছে, ২ হাজার ২০০ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গভর্নর কামিল বলেন, এখন পর্যন্ত ১৬২ জনের মৃত্যু বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বেশিরভাগ শিশু এবং অনেকেই সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থী। নিয়মিত ক্লাস শেষে তারা মাদ্রাসায় অতিরিক্ত ক্লাস করছিল।
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হয়। ২০০৪ সালে সুমাত্রা উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প ও এরপর সুনামিতে এ অঞ্চলজুড়ে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় মারা যায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ। ২০১৮ সালেও লম্বক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়। আর গত বছর সুলাওসি দ্বীপে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামিতে ৪ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়।