এক নজরে চিকিৎসায় নোবেল বিজয়ী সুভান্তে প্যাবো
২০২২ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডেনের জিনবিজ্ঞানী সাভান্তে প্যাবো
আদিম মানুষের জিনোম উদঘাটন ও মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য ২০২২ সালের চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সুভান্তে প্যাবো।
প্যাবোর গবেষণার মূল অর্জন হচ্ছে- বিলুপ্ত মানুষ ও আধুনিক মানুষের মধ্যে যোগসূত্র প্রকাশ করার জন্য একটি সম্পূর্ণ নিয়ান্ডারথাল জিনোম সিকোয়েন্স। এই গবেষণার মাধ্যমে তিনি আগের অজানা একটি মানব প্রজাতির অস্তিত্বের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সামনে এনেছেন।
সুইডেনের স্টোকহোমে ১৯৫৫ সালের ২০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন সুভান্তে প্যাবো। তাঁর মা এস্তোনীয় রসায়নবিদ কারিন প্যাবোর কাছে বড় হন। বাবা ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রাণরসায়নবিদ সুন্যা বারিস্ট্রম, যিনি ১৯৮২ সালে বেংট আই. স্যামুয়েলসন এবং জন আর. ভেনের সাথে চিকিৎসাবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান।
১৯৮৬ সালে উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। এরপর তিনি জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়- ও পরে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলেতে পোস্টডক্টরাল সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯০ সালে মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় নিয়োজিত হন।
প্যাবো ১৯৯৯ সালে ’বিবর্তনীয় নৃবিজ্ঞান’-এর জন্য ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট, লিপজিগ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানেও সেখানেই কর্মরত রয়েছেন।
২০২০ সাল থেকে তিনি জাপানের ওকিনাওয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে একজন সহযোগী অধ্যাপক হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন প্যাবো। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য পুরস্কার হচ্ছে :
গটফ্রিড ভিলহেল্ম লাইবনিৎস পুরস্কার (১৯৯২), মাক্স ডেলব্র্যুক পদক (১৯৯৮), চিকিৎসা বিজ্ঞানে লুই-জঁতে পুরস্কার (২০০৫), পুর ল্য মেরিত (২০০৮), কিস্টলার পুরস্কার (২০০৯), জার্মানির রাষ্ট্রীয় উৎকর্ষ ক্রুশ (তারকাসহ) (২০০৯), বংশাণুবিজ্ঞানে গ্রুবার পুরস্কার (২০১৩), লোমোনোসভ স্বর্ণপদক (২০১৪), রয়াল সোসাইটির বিদেশী সদস্য (২০১৬), জৈবনিক বিজ্ঞানে ব্রেকথ্রু পুরস্কার (২০১৬), কেইও চিকিৎসাবিজ্ঞান পুরস্কার (২০১৬), আস্তুরিয়াসের রাজকন্যা পুরস্কার (২০১৮), ডারউইন-ওয়ালেস পদক (২০১৯), জাপান পুরস্কার (২০২০), ম্যাসরি পুরস্কার (২০২১), চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (২০২২)।