কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আসাদ রউফের মৃত্যু
চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু। ওই ম্যাচেই প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ
ক্রিকেট মাঠের এক সময়ের পরিচিত মুখ ও আইসিসি এলিট প্যানেলের সাবেক আম্পায়ার আসাদ রউফ আর নেই। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যান তিনি।
রউফের বয়স হয়েছিল ৬৬। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আম্পায়ারিং শুরু করেন রউফ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের ওয়ানডে দিয়ে। তবে তখনও তিনি আইসিসির ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের অংশ নেন।
২০০৪ সালে আলিম দার এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার পর রউফ উঠে আসেন ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলে। এখান থেকেই ২০০৫ সালে তার টেস্ট অভিষেক হয়ে যায় আম্পায়ার হিসেবে। সেখানে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট দিয়ে তার শুরু। ওই ম্যাচেই প্রথমবার টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
ওই বছরই অস্ট্রেলিয়ায় বক্সিং ডে টেস্টে আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ পান তিনি। পরের বছর জায়গা পান এলিট প্যানেলে। সব মিলিয়ে ৪৯ টেস্ট ও ৯৮ ওয়ানডেতে আম্পায়ার হিসেবে দাঁড়ান তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে দুই সংস্করণেই তার চেয়ে বেশি ম্যাচ পরিচালনা করেন কেবল আলিম দার। এছাড়া টি-টোয়েন্টি পরিচালনা করেন তিনি ২৩টি। টিভি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আরও ৬১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে।
আসাদ রউফের আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারের শেষটা অবশ্য ভালো হয়নি। ২০১৩ সালে আইপিএল স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ায় তার নাম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরোয়ানা জারি করে মুম্বাই পুলিশ। তবে আইপিএল শেষ হওয়ার আগেই ভারত ছেড়ে যান তিনি।
ওই বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আম্পায়ার তালিকা থেকে রউফকে বাদ দেয় আইসিসি। যদিও তখন আইসিসি বলেছিল, তাকে বাদ দেওয়ার সঙ্গে আইপিএলে ফিক্সিং অভিযোগের সম্পর্ক নেই। রউফ বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। তবে ২০১৩ সালের পর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায়নি তাকে।
২০১৬ সালে ভারতের বোর্ড বিসিসিআই তাকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে দুর্নীতি ও অসদাচরণের চারটি অভিযোগে। খেলোয়াড়ি জীবনে রউফ ছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিভিন্ন দলের হয়ে ৭১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ৪০টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেন তিনি।