লন্ডনে ৬০০ শিশুর দেহ তল্লাশি নিয়ে বিতর্ক
গত বছর সারাহ এভারার্ডকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে কূটনৈতিক সুরক্ষা স্কোয়াডের এক সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের পুলিশ দুই বছরের ব্যবধানে ছয় শতাধিক শিশুর দেহ তল্লাশি করেছে, যাদের ৫৮ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ। শিশুর প্রতি বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বর্ণ বৈষম্য নিয়ে দেশটিতে নতুন বিতর্ক দেখা দিয়েছে। খবর এএফপির।
ব্রিটেনে শিশুদের নিয়ে কাজ করা কমিশনার র্যাচেল ডি সুজা জানান, মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে এই পরিসংখ্যান পেয়ে তিনি হতবাক। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৬৫০ অপ্রাপ্ত বয়স্ককে পুলিশ কর্মকর্তারা তল্লাশি করেছেন, যাদের ৯৫ শতাংশের বেশি ছেলেশিশু। ৬৫০ শিশুর মধ্যে ৫৮ শতাংশই ছিল কৃষ্ণাঙ্গ।
ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পুলিশ বাহিনীকে গত মার্চে ‘চাইল্ড কিউ’র মামলায় ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছিল। এ বিষয়ে ডি সুজা বলেন, জাতিগত ভারসাম্যহীনতায় এই তথ্য উদ্বেগজনক। মেট্রোপলিটন পুলিশের মধ্যে ‘শিশু সুরক্ষার আশপাশে পদ্ধতিগত সমস্যার’ বড় অংশ হতে পারে চাইল্ড কিউ।
সাম্প্রতিক বছরে লন্ডন পুলিশের কর্মকর্তাদের কয়েকটি ঘটনা বেশ সমালোচনা তৈরি করে। গত বছর সারাহ এভারার্ডকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে কূটনৈতিক সুরক্ষা স্কোয়াডের এক সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশের প্রতি জনগণের অনাস্থা তৈরি হওয়ায় ক্রেসিডা ডিক গত ফেব্রুয়ারিতে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান চাইল্ড কিউ কেস ও অন্যান্য ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশের সমালোচনা করেছেন। তার এক মুখপাত্র বলেন, এটি গভীর ‘উদ্বেগের’ যে, একজন প্রাপ্তবয়স্কের উপস্থিতি ছাড়াই এতগুলো শিশুর দেহ তল্লাশি করা হয়েছে।